ক্রীড়া ডেস্কঃ
ব্লুমফন্টেইনে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই হলো নিউজিল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কার। যে লড়াইয়ে শেষ হাসি নিউজিল্যান্ডের। জয়ের আশা ছিল শ্রীলঙ্কারও। কিন্তু শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে এক বল বাকি থাকতে লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে কিউইরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪২ রানের লড়াকু এক পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা যুব দল। কিউই বোলারদের তোপে অবশ্য ১১২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দলটি। আট নম্বরে নামা আহাম বিক্রমাসিংহে দলকে টেনে নিয়ে গেছেন শেষ ওভার পর্যন্ত।
ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে আউট হন বিক্রমাসিংহে। ৪৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে করেন ৬৪ রান। এছাড়া ৪৬ রান আসে সোনাল দিনুশার ব্যাট থেকে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন আদিত্য অশোক। ২টি করে উইকেট নেন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক আর জেসে টাশকফ।
২৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও পরে উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে থাকে নিউজিল্যান্ডের যুবারা। ওপেনার রিস মারিয়ু করেন ৮৬ রান। তবে বল নষ্ট করে এগোতে থাকায় ৪৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে কিউইদের বোর্ডে ওঠে ২১৭ রান। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ২৬ রান।
এর মধ্যে ৪৯তম ওভারে এসে ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে রানআউট হয়ে যান সেট ব্যাটসম্যান বেকাম-হুইলার গ্রিনাল। ৮০ রান করে তিনি ফেরার পরের বলে আরও এক উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। ৭ উইকেটে তখন ২২৯ রান দলটির।
শেষ ৮ বলে দরকার ১৪ রান, শেষ ওভারে ১২। মধুশঙ্কার ওই ওভারের প্রথম ৪ বলে মাত্র ৬ রান নিতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক আর জো ফিল্ড।
শেষ দুই বলে দরকার ছিল ৬ রান। ম্যাচে তখন চরম উত্তেজনা। জয়ের আশায় লঙ্কানরাও। কিন্তু পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সব উত্তেজনার জলে পানি ঢেলে দেন ক্লার্ক, ভেঙে দেন লঙ্কান সমর্থকদের হৃদয়।
সূত্রঃ জাগোনিউজ