সোয়েব সাঈদঃ
রামুর চাকমারকুলে গ্যাস সিলিন্ডারে ওজনে কম দেয়া এবং লাইসেন্স না থাকায় এক ব্যবসায়িকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা। অভিযুক্ত ব্যবসায়ি আবদুল মালেক চাকমারকুল মাদ্রাসা গেইট এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। জি গ্যাসের প্রকৃত এজেন্ট এর পরিবর্তে অসাধু চক্রের কাছ থেকে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করা হত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ি একটি চালের দোকানে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি গ্রাহকরা ওই ব্যবসায়ির গ্যাস সিলিন্ডারে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকার অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহষ্পতিবার (১৩ ফেব্রæয়ারি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার নির্দেশে রামু থানার এসআই গনেশ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। এসময় দোকান মালিক আবদুল মালেক কম ওজনের এসব গ্যাস সিলিন্ডার কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ এলাকার আবু ছৈয়দ নামের এক ব্যবসায়ির প্রতিষ্ঠান মক্কা এন্টারপ্রাইজ থেকে ক্রয় করতেন বলে জানান।
রামু থানার এসআই গনেশ জানান, ইউএনও’র নির্দেশে দোকানটি সিলগালা করেছেন এবং দোকান মালিক আবদুল মালেককে আটক করা হয়। অভিযানকালে ওই ব্যবসায়ি দোকানের কোন লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান, ওই ব্যবসায়ি সিলিন্ডারে গ্যাস কম দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে আসছিলেন। এ ব্যবসা ঝূঁকিপূর্ণ হলেও তার দোকানের কোন লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র ছিলো না। এজন্য তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রামু বাইপাসস্থ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় প্রতিষ্ঠান জি-গ্যাস এর বিক্রয় প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে রামু সহ জেলার বিভিন্নস্থানে একটি অসাধুচক্র কম ওজনের গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার অবৈধভাবে বাজারজাত করে গ্রাহকদের সাথে রমরমা প্রতারনা করে আসছে। ফলে মানসম্পন্ন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় কোম্পানীগুলো বাজার হারাতে বসেছে। এমন পরিস্থিতিতে রামু উপজেলা প্রশাসনের এ অভিযান প্রশংসার দাবি রাখে। এরফলে গ্রাহকরা প্রতারনার শিকার হবে না। তিনি কম ওজনের গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার বাজারে সরবরাহকারি চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান।