অনলাইন ডেস্কঃ
বাংলাদেশে এখনও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও মরণঘাতী এই ভাইরাস ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ বাহিনী। এরই মধ্যে এ ভাইরাস প্রতিরোধ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিতে সারাদেশে পুলিশের সব ইউনিটে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। ওই বার্তায় করোনাভাইরাস কীভাবে ছড়ায়, লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধে পুলিশ ইউনিটগুলোর করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ওই বার্তায় বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্য বা তাদের পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। পুলিশের সব হাসপাতাল, স্থাপনা, ব্যারাক, অফিস, থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র, ক্যাম্প, শপিংমল, আবাসিক ভবন, রান্নাঘর, ডাইনিং ও বাথরুম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজ করে থাকে। এর বাইরে দুই লাখের বেশি পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। সবাইকে সচেতন করতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রত্যেক জেলা পুলিশ সুপারের কাছে সতর্কতামূলক জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, জরুরি বার্তায় পুলিশের কল্যাণ প্যারেডে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পুলিশের স্থাপনাগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে ব্রিফ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ফোর্সের সচেতনতা বাড়াতে কল্যাণ সভায় রোল কলে পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক বা সিভিল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়ে ব্রিফ করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জরুরি ওই বার্তায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক পুলিশ সদস্য তার পরিবারের সদস্যদের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ নেবেন। সরকারি বাসা বরাদ্দের নিয়ম অনুযায়ী কম্পাউন্ডের ভেতরে পশুপাখি রাখা যাবে না। এ ছাড়া পুলিশের সব হাসপাতাল, ব্যারাক, অফিস, থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ক্যাম্প ও আবাসিক ভবনের প্রবেশপথে বা সুবিধাজনক স্থানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও করণীয় সংক্রান্ত নির্দেশনা লিফলেট ও ফেস্টুনের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক (হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন) তাপতুন নাসরীন সমকালকে জানান, তারা নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে যে কোনো বিষয়ে ফোর্সের সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের বার্তা দিয়ে থাকেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও সারাদেশে পুলিশ ফোর্সের করণীয় সম্পর্কে বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের বার্তায় করোনাভাইরাস ছড়ানো এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি মূলত বাতাসের মাধ্যমে, হাঁচি-কাশির ফলে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এ ছাড়া ভাইরাস আছে এমন কোনো কিছু স্পর্শ করে হাত না ধুয়ে নাকেমুখে বা চোখে সেই হাত লাগালে তা ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা ও গলাব্যথা করতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি মারাত্মক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। শিশু, বৃদ্ধ ও কম রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাটিসও হতে পারে।
সূত্রঃ সমকাল