আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭শ একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ৮০ হাজার ১শ ৫০ জন। এখন পর্যন্ত ৩৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনার অধিকাংশই চীনের মূল ভূখণ্ডে।
চীনে নতুন করে আরও ৫শ আটজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বর্তমানে এশিয়ার বেশ কিছু দেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপেও এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের মূল ভূখণ্ডে নতুন করে আরও ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৮ জনই হুবেই প্রদেশের উহান শহরের। চীনে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৬শ ৬৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অপরদিকে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার ৬শ ৬৮।
অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আরও ৬০ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৮শ ৯৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৮ জন। এদিকে, জাপানি প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই প্রমোদতরীর চারজন প্রাণ হারিয়েছে। দু’সপ্তাহ ধরে ওই প্রমোতরীর যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
অপরদিকে, ইরানের পবিত্র শহর হিসেবে পরিচিত কোমে শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্ধশত মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সির (ইলনা) বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি ও দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট এবং কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর যে সংখ্যা জানিয়েছিল এই সংখ্যা তার চেয়ে চারগুণ বেশি। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, করোনা সংক্রমিত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৪৭ জন।
ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কে প্রতিবেশী তিন দেশ-আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসে জাপানের বিভিন্ন স্থানে ৫, ইতালিতে ৭, হংকংয়ে ২, তাইওয়ানে একজন, ফ্রান্সে একজন এবং ফিলিপাইনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ হাজার ৪শ ৬৯ জন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ