আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি-কে (এনআরসি) ঘিরে উত্তাল ভারত। এরই জের ধরে ভারতের দিল্লিতে চলছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এক তরফা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এ সহিংসতায় ৪৩ জন প্রাণ হারালেও মসজিদ ও মন্দির রক্ষায় হিন্দু-মুসরিমের এক নজিরবিহীন সম্প্রীতির ঘটনাও ঘটেছে। যার ফলে নিন্দিত হচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসবাদ আর প্রশংসায় ভাসছে সম্প্রীতি।
উত্তর দিল্লির মৌজপুরের শান্তিপ্রিয় হিন্দু-মুসলিমরা স্থাপন করেছে অনন্য নজির। মৌজপুরের নূর-ই-ইলাহি গলিতে পাশাপাশি অবস্থিত আজিজিয়া মসজিদ এবং হনুমান মন্দির। এই সহিংসতার মধ্যে দিন-রাত জেগে মসজিদ পাহারা দিচ্ছেন শান্তিপ্রিয় হিন্দুরা আর মন্দির পাহারা দিচ্ছে মুসলিমরা।
দিল্লিজুড়ে সহিংসতার উত্তাপ ও আক্রমণ শুরু হতেই হনুমান মন্দির পাহারা দিয়ে আসছেন মুসলিমরা। অপরদিকে আজিজিয়া মসজিদ পাহারার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় হিন্দুরা।
দিল্লির সহিংসতায় একাধিক অশান্ত চিত্র যখন সামনে তখন মসজিদ ও মন্দির রক্ষায় হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতি নিঃসন্দেহ এটি শান্তি স্থাপনে স্থানীয়দের ঐক্যের চিত্র।
উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মৌজপুরের স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিমরা নূর-ই-ইলাহির মন্দির ও মসজিদ এলাকায় সম্প্রীতির বন্ধনে একত্রিত হন।
মুসলিমদের প্রার্থনার সময় হিন্দুরা মুসজিদ ও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় কড়া পাহারায় থাকেন আবার হিন্দুদের পূজা-আর্চনার সময় মুসলিমরা তাদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন।
দিল্লির সহিংসতা পৌঁছতে পারেনি মৌজপুরের নূর-ই-ইলাহির সড়কে পাশাপাশি স্থাপিত মসজিদ ও মন্দিরে।
যখনই মৌজপুরে পাথর ছোড়াছুড়ি শুর হয়, তখনই স্থানীয় জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে বৈঠকে বসেন। দিল্লি অন্যান্য অঞ্চলের অবস্থা ও অবস্থান যা-ই হোক না কেন মৌজপুরের নূর-ই-ইলাহি সড়কে পাশাপাশি স্থাপতি মসজিদ ও মন্দিরে কোনো সহিংসতা ঘটতে দেয়া হবে না বলে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ