অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে অর্থ বিভাগ। শিগগিরই এই বরাদ্দ দেয়া হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, টাকা বরাদ্দের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। তবে শিগগিরই বরাদ্দ দেয়া হবে।
একই কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল। তিনি বলেন, এখনও বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তবে আশা করছি শিগগিরই বরাদ্দ পাব।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত ৫ মার্চ ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সুশীল কুমার পাল স্বাক্ষরিত চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ‘কোভিড-১৯’ এর চিকিৎসার নিমিত্তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা/উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
“কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখতে হয়। এ জন্য সিসিইউ, আইসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু, সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্ট কেয়ার), করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কীট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলা বা জেনারেল হাসপাতালসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জন্য চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন/সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবালয় অংশে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন।’
“এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ‘কোভিড-১৯’ এ আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা সুবিধা স্থাপন বা সম্প্রসারণের জন্য অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিক খাত থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো,’- বলা হয় চিঠিতে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ