লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা- আবহাওয়ার এমন আচরণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্চে আমাদের শরীর। সর্দি-কাশি-জ্বর এখন ঘরে ঘরে। এর পাশাপাশি ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার ভয় তো আছেই। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের ভয়। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ার পর থেকে সেই ভয় অনেকটাই বেড়ে গেছে।
যদিও সর্দি-কাশি এই সময়ে খুব সাধারণ একটি সমস্যা, কিন্তু করোনা আতংকের কারণে এটিই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন সময়ে যদি সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হন, তবে কী করবেন? জেনে নিন-
প্রথমত চেষ্টা করুন ঠান্ডা-গরম এই দুইয়ের হাত থেকেই বাঁচার। যদি বাইরে বেরিয়ে খুব ঘেমে যান, তা হলে হুট করে ঠান্ডা ঘরে ঢুকবেন না বা ঢকঢকিয়ে ঠান্ডা পানি গলায় ঢালবেন না। ঘাম মরে শরীরটা একটু শান্ত হতে দিন, তারপর নাহয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ঢুকবেন।
বাইরে থেকে বাড়ি গিয়ে গোসল করাটাও কাজের কথা নয়। সারাদিন হালকা গরম পানি খান। গলায় ব্যথা বা সর্দি-কাশির সম্ভাবনা দেখা দিলে তো এই রুটিন চালু করতেই হবে। সেইসঙ্গে জোর দিন ভিটামিন সি খাওয়ার উপরেও। লেবু, আমলকী, পেয়ারায় প্রচুর ভিটামিন সি মিলবে।
আদা দিয়ে কালো চা খাওয়া বা লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করলে সর্দি-কাশিতে ভালো ফল পাবেন। তাজা শাক-সবজি, ফল, বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়।
যদি সর্দি-কাশি হয়ই, তা হলে বাড়িতে থাকুন। বিশ্রাম নিন। যেকোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধেই শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে দ্রুতই, ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।
হাঁচি-কাশির সময়ে মুখ-নাক ঢেকে রাখুন যাতে ভাইরাস না ছড়ায়। সেই সঙ্গে বারবার হাত স্যানিটাইজ করবেন। মুখে বা নাকে হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা ছাড়তে হবে।
বাড়ির সবার থেকে কয়েকদিন একটু দূরে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। যারা অসুস্থ রোগীর সেবার কাজ করছেন, তারাও একটু দূরত্ব বজায় রেখে চললেই ভালো করবেন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ