খালেদ শহীদ, রামুঃ
রামু সেনানিবাসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্বোধন করেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের সূচনা করেন, রামু সেনানিবাসের জিওসি।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা রামু সেনানিবাসের শীলগেইট থেকে শুরু হয়ে ১০ পদাতিক ডিভিশনের তিনটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। শোভাযাত্রায় রামু সেনানিবাসের অফিসার, সকল পদবীর সেনাসদস্য অংশনেয়। শোভাযাত্রা শেষে রামু সেনানিবাসে নবনির্মিত শিশুদের ক্লাব উদ্বোধন করেন এবং সকাল ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের বিভিন্ন বিগ্রেড ও ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর উপর মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী ওএসপি, এডব্লিউসি, পিএসসি।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতার অক্লান্ত ত্যাগ তিতিক্ষা ও অদম্য বলিষ্ট নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
দুপুরে রামু সেনানিবাসের বিভিন্ন বিগ্রেড, ইউনিট ও প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন এবং রামু আবুবকর (রা:) ইসলামী সেন্টারের এতিমদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়। বাদ যোহর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে রামু সেনানিবাসের সকল ইউনিট ও স্থাপনাসহ সেনানিবাসের প্রবেশদ্বারে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সোমবার (১৬ মার্চ) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী। স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ, সিভিল সার্জন কক্সবাজার ডা. মাহবুবুর রহমান, অধিনায়ক র্যাব-১৫ সহ উর্দ্ধতন সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। রক্তদান কর্মসূচীতে ১০৫ জন সামরিক, বেসামরিক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আগত পর্যটকগন উক্ত কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়। রামু সেনানিবাসের স্বেচ্ছায় রক্ত দান কর্মসূচীর প্রশংসা করেন।