লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লু, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, জ্বর, মাথা ব্যথা, হাঁচি এবং ক্লান্তি। সিরিয়াস ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলির মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং মৃত্যুও থাকতে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রামক প্রকৃতির কারণে, সরকারি এবং বহু বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বিভিন্ন সুরক্ষা টিপস দিচ্ছে যাতে, ভাইরাসটি একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা ঘোষিত করোনাভাইরাস সুরক্ষা টিপসগুলো জেনে নিন এবং আপনার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন-
ভ্রমণ বন্ধ:
আপনার যদি ফ্লুর মতো লক্ষণ যেমন- কাশি, জ্বর, সর্দি বা হাঁচির মতো সমস্যা থাকে তবে যেকোনো ধরনের ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলুন:
এমনও হতে পারে, কোনো ব্য়ক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই, কিন্তু তার মধ্যেও এই রোগের জীবাণু থাকতে পারে। কারণ এই সংক্রমণটি রোগীর মধ্যে ফুটে ওঠে ১৪ দিনের মধ্যে। তাই জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলুন।
নিজের চিকিৎসা করান:
আপনি যদি করোনা ভাইরাস সংক্রামিত দেশ থেকে আসেন এবং ফ্লু-এর লক্ষণ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
দূরত্ব বজায় রাখুন:
যাদের ফ্লু বা সর্দির লক্ষণ রয়েছে তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কোনো ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় ০.৫ মিটার থেকে ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন।
হাত পরিষ্কার রাখুন:
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান এবং পানি বা জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন:
প্রতিদিন আপনার বাড়ির চারপাশ, টেবিল, টয়লেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সুইচ এবং স্টেশনারি জিনিস পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করবেন না:
যখন কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি কোনও মাস্ক ছাড়াই হাঁচি দেয় বা কাশি হয়, তখন প্যাথোজেনগুলো ফোঁটা আকারে বেরিয়ে আসে এবং চেয়ার বা টেবিলের মতো জিনিসগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য কোনো ব্যক্তি যখন সেই জিনিসগুলোকে স্পর্শ করে এবং সেই হাত দিয়ে তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে, তখন রোগের জীবাণুগুলো এর মাধ্যমে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রামিত করে। প্যাথোজেন জিনিসগুলোতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে।
প্রবীণদের বিশেষ যত্ন:
বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে যার কারণে বৃদ্ধ এবং পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের বিশেষ যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মুখ এবং নাক ঢেকে রাখুন:
আপনার যদি ফ্লু-এর মতো লক্ষণ থাকে এবং কাশি বা ঘন ঘন হাঁচি হয় তবে সবসময় টিস্যু ব্যবহার করুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।
মাস্ক স্পর্শ করবেন না:
আপনি যদি মুখ এবং নাক ঢাকতে মাস্ক পরে থাকেন তবে খালি হাতে এটি স্পর্শ করবেন না। মাস্কটি ব্যবহারের পরে এটি নিরাপদে সরিয়ে ফেলুন বা একবার ব্যবহারের পর তা বাতিল করুন। সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুয়ে ফেলুন।
এক্সট্রা মাস্ক বহন করুন:
কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে অনেকেই সিরিয়াস নয়। যদি আপনি এমন কাউকে দেখেন যার মধ্যে ফ্লু জাতীয় লক্ষণ আছে তবে তার মুখ ঢাকতে তাকে এক্সট্রা মাস্কটি দিন।
কাঁচা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন:
কেবলমাত্র সঠিকভাবে রান্না করা খাবার খান এবং রান্না না করা বা অর্ধেক রান্না করা খাবার বা মাংস জাতীয় খাবার এড়ানো উচিত। এমনকি, আপনি যদি কাঁচা মাংস বা মৃত প্রাণীর কোনো অংশ স্পর্শ করেন তবে অবিলম্বে হাত ধুয়ে ফেলুন।
যেখানে সেখানে থুথু ফেলবেন না:
আপনি যখন জনসাধারণের মাঝে থাকবেন তখন যেখানে সেখানে থুথু ফেলা বন্ধ করুন। কারণ এর মাধ্যমে কেউ সংক্রামিত হতে পারে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ