হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীর টাইমলাইন থেকেঃ
নতুন করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি আতঙ্কের নাম। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম পৃথিবীর অসংখ্য দেশের মানুষের মধ্যে মৃত্যুভয় জাগিয়ে তুলেছে কোভিড-১৯ রোগ।
এরই মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ১১ হাজার। বাংলাদেশেও এসেছে করোনার থাবা। আর তার চেয়েও বেশি এসেছে আতঙ্ক। মনের এই আতঙ্ক রোগকে ঠেকানোই এখন অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের দেশের গ্রাম ও শহর সব জায়গার মানুষের ভেতর একধরনের চাপা আতঙ্ক কাজ করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণ যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য একযোগে কাজ করছে, তখন এ দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্যসমৃদ্ধ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটি সামাজিকভাবে ভয়ংকর। বর্তমানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের চেয়ে গুজব প্রতিরোধ করা মুখ্য কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারণ, কোভিড-১৯ যেহেতু সংক্রামক, সেহেতু গুজবের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে মানুষ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আমাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে নিচের সাত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
১। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করুণ। কারণ তাদেরকে অন্তত ১৪ দিন সঙ্গহীন থাকতে হবে।
২। জনসমাগম এড়িয়ে যত সম্ভব নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করুণ।
৩। ঘরের বাইরে বের হওয়ার সময় মাক্স ও হাত গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে।
৪। ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে বা অ্যালকোহলযু্ক্ত হাত-ধোয়ার সামগ্রী ব্যবহার করে আপনার হাত ধূয়ে নিন।
৫। কাশি বা হাঁচি দেবার সময় মুখ এবং নাক কনুই দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন। ব্যবহৃত টিস্যুটি তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিন।
৬। ঠান্ডা লেগেছে বা জ্বরের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
৭। আপনার বা আপনার সন্তানের জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিন।
লেখক : গণমাধ্যম ও সমাজকর্মী।