সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামুতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডের শিকার নুরুল কবির (১৫) রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজারীকুল গ্রামের ছমি উদ্দিনের ছেলে এবং চট্টগ্রামের আশকরদিঘীর পাড় ছালেহ জহুর সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। বাবার কর্মস্থল হওয়ায় তারা স্বপরিবারে চট্টগ্রামের দামপাড়া ব্যাটারীগলি এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
গত ২২ মার্চ (রবিবার) উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রাবার বাগান হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্থানে নুরুল কবিরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। ওই সময় ছেলেটির পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করে পুলিশ। এ ঘটনার ৩দিন পর (২৫ মার্চ) ছমি উদ্দিন সংবাদপত্র ও ফেসবুকে ছবি দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেন এবং রামু থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন।
নুরুল কবিরের বাবা ছমি উদ্দিন জানান, সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারনে ছেলের স্কুল বন্ধ ঘোষনা হয়। এ সুযোগে গত ১৯ মার্চ ছেলের এক বন্ধু মামার বিয়ের কথা বলে তাকে রামুতে নিয়ে আসে। তবে তিনি আপাতত ছেলের ওই বন্ধুর নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান, সবকিছু তার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তার ধারণা ছেলে নুরুল কবিরকে হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানান। ২ ভাই, ১ বোনের মধ্যে নুরুল কবির ছিলো সবার বড়।
রামু থানার উপ-পরিদর্শক গনেশ জানিয়েছেন, নুরুল কবিরের মৃতদেহের মাথার পেছনে, সামনে এবং পায়ে রক্তাক্ত জখম ছিলো। এ ঘটনায় ২৪ মার্চ রামু থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। মৃতদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ২২ মার্চ মৃতদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় না পাওয়ায় তাকে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছিলো। ২৫ মার্চ ছেলেটির বাবা জানতে পেরে থানায় যোগাযোগ করেন। তিনি আরো জানান, দায়েরকৃত মামলায় এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।