অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সব কিছুই প্রায় বন্ধ। ঢাকার ফুটবল লিগের পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগও। খালি চোখে মনে হচ্ছে করোনা আতঙ্কে মাঠের বাইরে ঘরে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। তবে সবার জন্য বিষয়টি এক রকম নয়।
করোনার আতঙ্ক সবাইকেই গ্রাস করেছে; কিন্তু সব ক্রিকেটারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা এক নয়। তাই লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্রিকেটার পড়ে গেছেন আর্থিক কষ্টে।
লিগ বন্ধ না হলে এতদিন প্রতি দলের গড়ে ৫টি করে ম্যাচ খেলা হয়ে যেত। তাতে করে ক্রিকেটাররা গড়-পড়তা তাদের এবারের পারিশ্রমিকের অন্তত তিন ভাগের এক ভাগ পেয়েও যেতেন ক্লাবগুলোর কাছ থেকে; কিন্তু তার কোনই সুযোগ নেই।
শীর্ষ তারকা, সিনিয়র, সু-প্রতিষ্ঠিত পারফরমাররা গড় পড়তা ৩০-৪০ ভাগ থেকে প্রায় অর্ধেক পারিশ্রমিকের অগ্রিম পেয়েছেন; কিন্তু জুনিয়র ক্রিকেটাররা সে অর্থে কিছুই পাননি। তাই তারা আছেন নিদারুণ অর্থকষ্টে।
তাদের হয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার তুষার ইমরান দুটি আবেদন করেছিলেন বোর্ডের কাছে। তুষারের আবেদন ছিল করোনার কারণে ঢাকা লিগ না হলে বোর্ড যেন একটু সদয় হয় ক্রিকেটারদের প্রতি।
যার একটি ছিল, বোর্ড ৬০-৭০ জন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারের জন্য ২০, ২৫ ও ৩০ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন দেয়, সেই তালিকায় আরও অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা। যারা কোন বেতন স্কেলেই নেই। বোর্ড যে ১৭ জনকে মোটা অংকের মাসোহারা দেয়, সেটাও পান না।
আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলোয়াড়দের জন্য বোর্ডের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পান ৬০ থেকে ৭০ ক্রিকেটার, সেই তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেছিলেন এ মুহূর্তে ঢাকার ক্রিকেটের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার তুষার ইমরান।
এ ছাড়া যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটর, তাদেরকে ৬ মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার আন্তরিক অনুরোধও করেছেন তুষার। কয়েকদিন আগে জাগো নিউজের মাধ্যমে তুষার ইমরান বোর্ড সভাপতির কাছে এই দুটি মানবিক আবেদন রাখেন।
সেই আন্তরিক আবেদন গ্রহণ করা হবে কি হবে না, তা বদলে দেবে সময়। করোনার কারণে লিগ আদৌ হবে কি হবে না? তাও অনিশ্চিত। তবে এ মুহূর্তে বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের জন্য এককালীন ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছেন।
আজ রাতে বিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আর্থিক বরাদ্দের কথা জানানো হয়েছে। যে ১৭ জন ক্রিকেটার বোর্ডের সঙ্গে বার্ষিক বেতনে চুক্তিবদ্ধ এবং যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, যারা বোর্ডের কাছ থেকে মাসিক বেতন পান, তারা ওই ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন না। যারা এর বাইরে, মানে কোন বেতন কাঠামোতেই নেই। তাদের সবাইকে এককালিন ৩০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘করোনার কারণে লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্রিকেটাররা অনেকেই আর্থিক দিক থেকে বিপাকে। বিশেষ করে যারা বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিভুক্ত নয়, আবার বোর্ডের কাছ থেকে কোন বেতনও পায় না এবং অনেকে হয়ত ক্লাবগুলোর কাছ থেকে তেমন অগ্রিম টাকাও পায়নি। তাদের জন্য এই এককালিন বরাদ্দ।’
সূত্রঃ জাগোনিউজ