অনলাইন ডেস্কঃ
পুলিশ কর্তৃক অনাকাঙ্ক্ষিত বল প্রয়োগ বন্ধ হলেও কিছু নিউজ মিডিয়ায় নতুন করে পুরাতন অভিযোগগুলো নিউজ আকারে ছাপা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এইসব নিউজে মনে হচ্ছে এখনও বল প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া একটি দুষ্ট চক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরনো ছবি ও ভিডিও এডিট করে কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছে। এমনকি ২০১১ সালে পুলিশের বিএনপি-জামাতের অগ্নি-সন্ত্রাস দমনের ছবিও ফটোশপ করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বক্তব্যে পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, সাধারণ মানুষ এসব ছবি সহজেই বিশ্বাস করে তার বিপরীতে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন এবং তা শেয়ার করছেন।
পুলিশ সদরের পাঠানো দুটি ছবিতে দেখা যায়, ২০১১ সালে পুলিশের একজন নারী সদস্য এক ব্যক্তিকে পেটানোর ভঙ্গিতে রয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই ছবিটিতে নারী পুলিশ সদস্যের মুখে এডিট করে মাস্ক পরিয়ে তা চলমান ঘটনা বলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এমন মিথ্যাচারের ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারসহ নানা উপায়ে কাজ করে চলা পুলিশ সদস্যরা মানসিকভাবে নিরুৎসাহিত (ডিমোটিভেটেড) হচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ালে উপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ সদর আরও বলেছে, করোনার বিস্তার রোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুরু থেকেই পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এই কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন সারাদেশে লক্ষ-কোটি মানুষের সঙ্গে পুলিশের সাক্ষাত হচ্ছে। এরমধ্যে গুটিকয় সাক্ষাতের সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্খিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়গুলো পুলিশ সদর দপ্তরের দৃষ্টিতে আসা মাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদেরকে তাৎক্ষনিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনাকাঙ্খিত বল প্রয়োগ বন্ধে পুলিশ প্রধান ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় এবং মোবাইল ফোনে অপারেশনাল সকল কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন। অপারেশনাল ইউনিট কমান্ডাররাও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তাদেরকে একইভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ফলে একই ধরণের ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে পুলিশ সদরদপ্তরের দৃষ্টিতে পড়েনি। তা ছাড়া নির্ভরযোগ্য কোনো প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় এমন কোনো সংবাদ চোখে পড়েনি।
সূত্রঃ সমকাল