অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।খবর বাংলানিউজের।
রোববার (২৫ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় চলতি বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।
শিক্ষা সচিবের সভাপতিত্বে গত ১৯ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই পরীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আগামী ১ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার প্রস্তাব করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত করা হবে।
জেএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ ও কেন্দ্র ফি বাবদ ২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গত ১৮ মে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়াদি এখনও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। গত ১৭ জুলাই সচিবালয়ে এক সভা শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার মূল দায়িত্বে থাকবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১০ সাল থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, এতে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আগামী ২০-২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিকে ৩১ লাখ ২৫ হাজার ও ইবতেদায়ীতে ৩ লাখ ২০ হাজারসহ মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার জন।
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০৯ সাল এবং ইবতেদায়ীতে এই পরীক্ষা শুরু হয় ২০১০ সালে। সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে।