নীতিশ বড়ুয়াঃ
মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের জন্য কক্সবাজার শহরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রমজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিলেন কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। বৃহষ্পতিবার (২এপ্রিল) দুপুরে ট্রাকভর্তি চালের বস্তা নিয়ে তিনি কক্সবাজার শহর ও সদরের আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ দুই হাজার দুস্থদের জন্য এ ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসের সংক্রমন থেকে বাঁচতে নিজেকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস শূণ্যের কোটায় না আসা পর্যন্ত সংগঠনের বিত্তবান নেতৃবৃন্দ কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকলে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। এমপি কমল সকলকে আতংকিত না হয়ে ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কেউ খাদ্য বা অন্য যে কোন বিষয়ে সমস্যায় থাকলে আমাদেরকে জানাবেন, আমাদের টিম প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আপনার বাসা-বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম আলী চৌধুরী জানান, আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি’র মতো প্রত্যেক নেতা যদি হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে দুর্যোগ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত কোন অভাবগ্রস্থ মানুষ আর ঘর থেকে বের হবেনা।
কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ার ভাড়া বাসায় বসবাসরত আলী আহমদ শহরে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি জানান, চার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসারের সামান্য জমানো টাকা দিয়ে গত ৭ দিন কোন রকমে সংসার চললেও পরিবারে আর কোন খাদ্য সামগ্রী বা টাকা পয়সা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে মেয়েদের পেটের তাগিদে আজকে রিক্সা নিয়ে বের হই। আশানুরূপ যাত্রী না থাকায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি মহোদয় আমাকে ডেকে কিছু চাল ও টাকা দেয়। এসব দিয়ে অন্তত আগামী ১০ দিন তিনি স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাসায় থাকতে পারবেন। রিক্সা চালক আলী আহমদ এমপি কমলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দোয়া করেন।