হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
কক্সবাজারের রামুতে তামাকচাষ বেশি হয়। বিশেষকরে উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে এই চাষের পরিধি অনেক বেশি। পাশ্ববর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেও রয়েছে তামাকচাষী।
প্রতি বছরের এপ্রিল মাসে টোব্যাকো কোম্পানিগুলো তামাকপাতা ক্রয় করেন। বতর্মানে সময়টা চলে এসেছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস রোগের কারণে সংশ্লিষ্টরা পড়েছে চরম বিপাকে। চরম হতাশায় ভূগছেন তামাকচাষীরা।
রামু ও নাইক্ষ্যংছড়িতে কাজ করছে বিএটিবি, জিটিআই, আবুল খায়ের ও আকিজ টোব্যাকো। বিএটিবির (বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) গ্রাহক সবচেয়ে বেশি।
সূত্র জানায়, চাষীদের কোম্পানির দেনার পাশপাশি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে তামাক চাষ করতে হয়েছে। বর্তমানে তামাক বান্ডিল আকারে সাইজ করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম মোতাবেক সময়ে তামাক ক্রয় আরম্ভ না হওয়ায় চাষীরা ভেঙে পড়ছেন চরম হতাশায়।
গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমবোমাংখিল ও মাঝিরকাটা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান- তামাকচাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত রামুর কয়েক হাজার মানুষ যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হন- সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ প্রস্তুতকৃত তামাকপাতা বাড়িতে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। সচেতন ব্যক্তিরা সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাক ক্রয়ের উপর মত দিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিএটিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ডিপো ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন- তামাকপাতা ক্রয় করতে আমরা আগ্রহী। কৃষকের ক্ষতি মানে আমাদেরও ক্ষতি। এই করোনা সংকটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ নিয়মে প্রতিদিন অন্তত ১২জন কৃষক থেকে তামাকপাতা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।