অনলাইন ডেস্কঃ
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরে এশার নামাজের জামাতে পাঁচজনের বেশি মুসল্লি হওয়ায় ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বাদ এশা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার আনু ব্যাপারী জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য ইমামকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে জামাতে বেশি মুসল্লি হওয়ার ঘটনায় ইমামদের দোষ দিচ্ছেন না সচেতন মহল।
সচেতন মহলের ভাষ্যমতে, এ জেলার মানুষগুলো ধর্মান্ধ। তারা কোনো কিছু সহজে বুঝতে চেষ্টা করেন না। ভালোর জন্য বললেও সেটাকে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে পাঁচজন ও জুমআর নামাজে ১০ জনের বেশি মুসল্লিকে আসতে নিষেধ করেছে। কিন্তু মফস্বল ও গ্রামের মানুষগুলো এটি মানতে চান না। ইমামরা নিষেধ করলেও নামাজে দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত মানুষ এসে অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে জেলা সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জের কয়েকটি মসজিদে নামাজের আজানের পর মুসল্লিদের মসজিদে না এসে বাড়িতে নামাজ পড়ার জন্য আহ্বান করা হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে জেলার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করে সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে সচেতনতার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
ইমামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মসজিদ ও মদিনাতুল উলুম রহমতে আলম ইসলামী মিশন মাদরাসা কমিটির দফতর সম্পাদক ফিরোজ আলম রাসেল বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। ইমামের দোষ ছিল না। জামাতে দাঁড়ানোর পর অতিরিক্ত মুসল্লি এসে নামাজে অংশ নেয়। এতে পুলিশ মসজিদের ইমামকে আটক করে নিলেও পরে ছেড়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার জানান, দিকনির্দেশনা দিয়ে ইমামকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ