অনলাইন ডেস্কঃ
গরমে নভেল করোনাভাইরাস যাবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে একক কোনো সিদ্ধান্তেও পৌঁছাতে পারেননি। তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
আবার শুধু একটি নির্দিষ্ট ঋতুতেই নতুন এই করোনাভাইরাস ছড়ায় কিনা তাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এটা জানতে হলে বিজ্ঞানীদের দেখতে হবে যে, ভাইরাসটি বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে কীভাবে টিকে থাকে।
পৃথিবীর কোন অঞ্চলে কেমন আবহাওয়ায় এ ভাইরাস ছড়িয়েছে বরং তাতে একবার নজর দেওয়া যেতে পারে। এতে কোনো সিদ্ধান্তে আসা না গেলেও একটা ধারণা হয়তো পাওয়া যেতে পারে।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শীতের সময় নভেল করোনাভাইরাসের টিকে থাকার ক্ষমতা বেশি। ১০ মার্চের মধ্যেই বেশকিছু দেশে ব্যাপক হারে সামাজিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তখন ওই দেশগুলোতে শীতের মৌসুম চলছিল।
চীনের ১০০টি শহরের ওপর আরেকটি গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, যেসব শহরের তাপমাত্রা ও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি সেসব শহরে আক্রান্তের হারও কম।
করোনাভাইরাসের সঙ্গে আবহাওয়ার সম্পর্ক নিয়ে আরেকটি গবেষণা হয়েছে। যদিও সে গবেষণা পিয়ার রিভিউড না। তাতে বলা হয়েছে, ২৩ মার্চ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ার দেশ ও অঞ্চলগুলোতেই সামাজিক সংক্রমণ বেশি হয়েছে।
তবে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের কয়েকজন গবেষক দেখিয়েছেন, ঠান্ডা থেকে উষ্ণ, সমস্ত অঞ্চলেই করোনাভাইাস ছড়িয়েছে।
অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে গ্রীষ্মের শেষ দিকে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। শীত প্রধান ইউরোপের সঙ্গে তুলনা করলে এ অঞ্চলে আক্রান্তের হার অনেক কম। অবশ্য জনসংখ্যার ঘনত্বসহ আরও কিছু বিষয় এ ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিবারের সর্বশেষ সদস্য হলো কভিড-১৯। এর আগে সার্স, মার্সসহ করোনাভাইরাস পরিবারের আরও অন্তত ৬ সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকদের গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য করোনভাইরাসগুলো সাধারণত শীতের সময় ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু ওই একই সময় ছড়ায়। তবে গরমের সময় ভাইরাস ও ফ্লু ছড়ানোর পরিমাণও কমে আসে।
তবে নতুন এই করোনাভাইরাস গরমের সময় কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন।
সূত্র : বিবিসি।