লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
পরিস্থিতি যদিও অনুকূলে নয়, তবু জীবন থেমে থাকে না। বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদের লড়ে যেতে হয় নিরন্তর। তাইতো কাজ থামিয়ে রেখে অলস দিন পার না করে, বাড়িতেই অফিসের কাজ করছেন বেশিরভাগ মানুষ। এতে করে কাজের ভেতর থাকার কারণে সময়টা ভালো কাটছে। আবার আর্থিক নিশ্চয়তাও মিলছে।
এদিকে বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে বাড়ছে পিঠের ব্যথার সমস্যা। অফিসে নির্দিষ্ট চেয়ারে বসে কাজ করলেও বাড়িতে হয় খাবার টেবিলের চেয়ারে, অথবা সোফায়, কেউ কেউ বিছানাতে বসেই কাজ করছেন। এতে পিঠ সোজা রাখা কঠিন। ফলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
আবার অফিস যাওয়ার সময় হয়তো কিছুটা হাঁটতেন। অথবা সিঁড়ি ভাঙতে হতো। এতে শরীর অনেক সচল থাকতো। এখন পুরো কাজটা বসে। কোথাও যাওয়ার পরিশ্রম নেই। আর বাড়িতে থাকলে ততটা নিয়ম করে শরীরচর্চাও হচ্ছে না। ফলে ব্যথা বাড়ছে সবারই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনোরকম চলাফেরা ছাড়া সারাক্ষণ বসে কাজ করলে শরীরে বিভিন্ন অংশে ব্যথা বাড়বে। সেটি ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তার। তাই জেনে নিন এই অবস্থায় করণীয়-
বিছানা, চেয়ার বা সোফা আপনি যেকোনো একটি জায়গায় সারাদিন বসে কাজ করবেন না। কিছু সময় অন্তর জায়গা পরিবর্তন করুন। এতে আপনার স্বস্তি থাকবে, আবার ব্যথাও হবে না।
সম্ভব হলে বিছানা বা সোফা এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে বসার ধরন ঠিক থাকে না। ব্যথা বাড়তে পারে।
একটানা বসে কাজ করবেন না। ঘরের মধ্যেই হালকা পায়চারি করে নিন আধ ঘণ্টা অন্তর। প্রয়োজন মনে হলে বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার ওঠানামা করে নিন।
প্রতিদিন সকালে যোগাভ্যাস করুন। এটা রুটিন করে নিন। অথবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ। মাসল পেইন দ্রুত কমবে।
যদি সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা বা ছাদে ঘোরার সুযোগ না থাকে ঘরের বিভিন্ন জিনিস যেমন কুশন, টেবিল, চেয়ার, সোফা ব্যবহার করে শরীরচর্চা করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এখন যদিও সবার কাছেই সুযোগ কম। তবুও সম্ভব হলে সবজি, ফল বেশি করে মেনুতে রাখুন। সঙ্গে পরিমাণমতো পানি খেতেই হবে।
প্রাথমিকভাবে এইগুলো করেও যদি ব্যথা না কমে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না। এতে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ