খালেদ শহীদ, রামুঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হতদরিদ্র অসহায় মানুষকে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনা সদস্যরা। করোনা পরিস্থিতির কারনে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের আয় প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। লকডাউনের কারনেও সাধারণ মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ত্রাণ, চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পেয়ে অসহায় মানুষগুলো কৃতজ্ঞাতা জানিয়েছে সেনা সদস্যদের। দূর্যোগ পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য হতদরিদ্র মানুষরা সেনাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে কোন ঘোষনা ছাড়াই চাল, ডাল, আটা, তেল, লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী নিয়ে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে উপস্থিত হন রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা। নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী হাতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষগুলো এবং তারা সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শনিবার কোন প্রকার ঘোষনা ছাড়াই কক্সবাজারের ছয় উপজেলা ও চট্টগ্রামের চার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হতদরিদ্রদের মাঝে এসব নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী বিতরণ করে রামু সেনানিবাসের ১০ পদাতিক ডিভিশন।
এ সময় সেনাসদস্যরা সরকারের নির্দেশনা মেনে সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান। যে কোন জরুরি প্রয়োজনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন। সেনাবাহিনীর টহল দলগুলো বিগত কয়েকদিন যাবত গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রকৃত অভাবগ্রস্থ ও ছিন্নমূল মানুষদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
রামু সেনানিবাস সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বিশেষ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনী লকডাউন কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও কক্সবাজার জেলার রামু ও উখিয়া উপজেলা বিভিন্নস্থানে রামু সেনানিবাসের চিকিৎসকরা হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেন।
ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি সেনাসদস্যরা বিভিন্ন বাজার, দোকান, লোকালয়ে সচেতনতামূলক প্রচারনায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকা লোকজনকে নিজ ঘরে অবস্থানসহ জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত ঘরের বাহিরে গমন না করার জন্য প্রেষণা প্রদান করেন। জরুরি প্রয়োজনে খোলা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের প্রেষণা প্রদানসহ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্থান নির্ধারণ করেন। এছাড়াও রাস্তা, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় জীবানু নাশক স্প্রে করছেন সেনাসদস্যরা।