পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলা মগনামা ইউনিয়ন কার্যালয় সংলগ্ন ৩একর ২০শতক আয়তনের পুকুর দখলে নিতে দু’পক্ষে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষের আংশকা করছে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রান্তিক মৎস্য চাষী জাইদুল হক ও মো: তৈয়ব যৌথভাবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল উক্ত পুকুরে। ওই পুকুর থেকে তাদের বিতাড়িত করে দখলে নিতে মগনামা ইউনিয়নের রুস্তম আলী ও আলীম উল্লাহর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন ভাড়াটে স্বশস্ত্র লোকজন গত ২দিন ধরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই স্থানে অবস্থান নেয়। তারা মৎস্য চাষীদের পুকুর থেকে উচ্ছেদ করতে স্বশস্ত্র মহড়া ও ভীতি ছড়াতে তৎপর হয়।
গত বুধবার ভোরে দীঘি থেকে মৎস্য চাষীদের বিতাড়িত করতে রুস্তম আলী ও আলীম উল্লাহ স্বশস্ত্র লোকজনসহ ওই স্থানে যায়। এসময় দিঘী থেকে চাষীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এনিয়ে মৎস্য চাষীদের সাথে তার বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সন্ত্রাসীরা জাইদুল হক ও মো: তৈয়বকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এসময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসিরা জড়ো হয়ে ভাড়াটে লোকজনকে ধাওয়া দেয়। পরে, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা দ্রুত সটকে পড়েন।
এদিকে পুকুর দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে মগনামা ইউনিয়নের সাতঘরপাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেও আশংকা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসিরা।
মগনামা ইউপি কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরটি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত সম্পত্তি। পুকুরটি পূর্ববর্তী ইউপি চেয়ারম্যানদের ন্যায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানও যথাযথ নিয়মে লিজ প্রদান করেন। মৎস্য চাষীরা বর্তমানে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ভোগ দখলে আছে।
জাইদুল হক ও মো: তৈয়ব বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছি। চলতি বর্ষা মৌসুমে মৎস্য উৎপাদনের জন্য গত ৪মাস আগে পুকুরটিতে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করি। বর্তমানে মাছ গুলি বিভিন্ন ওজনের ও বিক্রি উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু এসময়ে এলাকার চিহ্নিত অপরাধীরা জোর করে পুকুর দখল নিয়ে মাছ আহরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে জানতে রুস্তম আলী ও আলীম উল্লাহ সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল সংযোগ বিছিন্ন থাকায় ব্যক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ এ পুকুরটি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে জাইদুল হক ও মো: তৈয়বকে লিজ প্রদান করে। সম্প্রতি এ পুকুরটি অবৈধভাবে দখলে নিতে একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুর রশিদ খান আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান আমাকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন। বিষয়টি দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সামাধান করা হবে।