অনলাইন ডেস্কঃ
অপপ্রচার ঠেকিয়ে দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম বা পদক্ষেপগুলো নিয়মিত জানাতে একটি ‘মিডিয়া সেল’ গঠন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মকর্তাদের বিবৃতি দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে বারণ করার পর রাতে এই মিডিয়া সেল গঠনের কথা জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এই মিডিয়া সেল চার সদস্যবিশিষ্ট বলে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ অধিশাখার উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
সেলে থাকছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) রীনা পারভীন, মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম অ্যানালিস্ট আহমেদ লতিফুল হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বা পদক্ষেপের বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিং, সকল মিডিয়াকে অবহিত, সকল মিডিয়াকে অবহিত এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে একটি মিডিয়া সেল গঠন করা হল।”
সেলের কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে
>> মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য ও বক্তব্যের বিষয়ে সকল যোগাযোগ মাধ্যমের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে।
>> কমিটি বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন ইত্যাদি পর্যালোচনা করে সারসংক্ষেপ আকারে নিয়মিতভাবে মন্ত্রী ও সচিবসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।
>> কোভিড-১৯ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করবে, স ব ধরনের মিডিয়াকে অবহিত করবে।
>> কোনো সংবাদ মাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ভুল, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য, ছবি, মন্তব্য, প্রকাশিত হলে সে বিষয়ে সংশোধন, ব্যাখ্যা ও মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য প্রস্তুত করে তা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রচার ও প্রকাশের ব্যবস্থা করবে।
বৈশ্বিক মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে ঘটার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা কাজ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
এর মধ্যে চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জামের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর নিম্ন মানের মাস্ক সরবরাহ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সুযোগ দেওয়া হলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে খাবার সঙ্কটের কথা এক নার্সের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে নার্সদের কথা বলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর।
এরপর ভিআইপি কোভিড-১৯ রোগীদের আলাদা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার পর খবর এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাতে গণমাধ্যমে আসার পর তা নাকচ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও কোনো বিবৃতি দেওয়া যাবে না।
জাগোনিউজ