ক্রীড়া ডেস্কঃ
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার নেতৃত্বের শেষ সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এখন কোচ-নির্বাচকরা চাইলে দলের একজন সদস্য হিসেবে খেলে যেতে চান মাশরাফি। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয় দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন জানালেন, প্রধান কোচের ২০২৩ বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় নেই মাশরাফি।
গিবসন তাই মাশরাফিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, মাশরাফি দেশকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছেন। সে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। মাঠে থেকে তরুণদের সে অনেক কিছু শিখিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমার মনে হয় না, এটা ভালো কোন উপায়। বরং তরুণদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অন্য কোন পথ খুঁজে নিতে হবে।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রধান কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার ভবিষ্যত পরিকল্পনায় মাশরাফিকে রেখেছেন। প্রত্যেক কোচই ২০২৩ বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুন করে দল গড়তে চাইবেন। কোচের চিন্তায় এখন হাসান মাহমুদ, সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, ইবাদত হোসেন যে এখন সাদা বলের ক্রিকেট খেলেনি, তাসকিন, মেহেদি হাসান রানারা আছে।’
গিসবনই কোচিং স্টাফদের মধ্যে প্রথম মাশরাফিকে অবসর নিয়ে ভাবতে বললেন। এছাড়া তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ, ইবাদতদের নিয়ে তার পরিকল্পনা নিয়ে গিবসন বলেন, ‘আমি ইবাদতে মুগ্ধ। সে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারে। তাসকিনের সঙ্গে আমার অল্প কথা হয়েছে, সে তার সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে। খালেদ ইনজুরিতে ছিল। তরুণ হাসানকে আমার সত্যি খুবই ভালো লেগেছে।
তার ওপর অনেক আস্থা আমার। সে বাংলাদেশের সেরা পেসার হতে পারে। শিখতে খুবই আগ্রহী ও। তার বোলিং অ্যাকশনও খুবই দারুণ। তাকে আরও ভালো বোলার হিসেবে তৈরির সব সুযোগ আছে। আমি আগামী কয়েক বছর তাকে খেলতে দেখে খুবই খুশি হবো। তাকে নিয়ে আমার অনেক আশা।’
তার মতে, পেসারদের নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ম্যাচে দু’জন পেসার নেওয়া হলেও শুরুতে স্পিনার দিয়ে বল করানো হয়। একটা করে সেশন দেওয়া হয়। বিদেশে গেলে তাদের কাজটা তাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া অভিজ্ঞতাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তাই আরও ভালো পরিকল্পনায় জোর দিলেন তিনি।
সূত্রঃ সমকাল