নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাহাড়-সাগর বেষ্টিত সাগর উপকূলীয় উপজেলা কক্সবাজারের মহেশখালীতে অর্ধলক্ষ মানুষ পাহাড়ের ঢালে ভূমিধসের ঝুঁকির মধ্যে বাস করছে। মহেশখালীর অধিকাংশ পাহাড় ভূমিদস্যুদের দখলে থাকায় পাহাড়ী এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। দখলে থাকা এসব পাহাড় ভূমিদ্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কাজ হচ্ছে না।
এদিকে বর্ষার পাহাড় ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে ব্যাপক প্রানহানির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। গত দুই দশকে মহেশখালীর পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ও ভূমিধসের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত, কয়েকশ” পঙ্গু এবং আহত হয়েছে। প্রতি বছর এসব এলাকায় পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রানহানির ঘটনা ঘটলে ও এখান থেকে লোকজনকে অন্য জায়গায় সরানো বা পূণর্বাসনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন সময়ে এক শ্রেণীর লোক রাজনৈতিক আশ্রয়ে পাহাড়ি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। তাতে সার্বিক সহযোগিতা করার ও অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, মহেশখালীর-ছোট মহেশখালী, শাপলাপুরের পুঁইছড়ি, ষাইটমারা, জেমঘাট, কালারমারছড়া,হোয়ানক সহ পাহাড়ের পাদদেশে ও চূড়ায় লক্ষাধিক মানুষ মৃতু্যঁঝুকি নিয়ে বসবাস করছে। এসব এলাকায় শুধু ভূমির্ধসের আতংক নয়, অতীতে বন্যা জন্তুর তান্ডবেও অনেক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বন বিভাগের দূনীর্র্র্তিবাজ র্কমকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে মহেশখালীতে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ঘটনাও ভূমিধসের একটি অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন পরিবেশবিদরা।
এলাকার লোকজন জানান, প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন মাকের্ট ও বাড়ির জন্য পাহাড় কেটে মাটি আনতে গিয়ে ও গত কয়েক বছরে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। কয়েক দশক ধরে মহেশখালীতে ব্যাপকহারে অস্বাভাবিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চললে ও প্রশাষণ নির্র্বিকার।
সরেজমিনে জানা গেছে, মৃত্যুঝুঁকি সত্ত্বেও সাগর ও নদী ভাঙা আশ্রয়হীন ও ভূমিহীন মানুষগুলো উপায়ান্তর না দেখে এসব পাহাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছে। আবার অনেক স্থানে প্রভাবশালীরা পাহাড় গুলো নিজেদের দখলে রাখতে নিরীহ লোকজনদের ব্যবহার করে তাদের জীবন খেলায় মেতে উঠেছে।
এসব এলাকার লোকজন জানান,পাহাড় এবং ভূমিধষে প্রাণহারানোর ভয় তাদের তাড়া করলেও অন্য কোন উপায়, অবলম্বন ও আশ্রয় না থাকায় তারা এক প্রকার বাধ্য হয়ে ঝুকিঁর মধ্যে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করে আসছে। শুধু নিজেদের প্রাণহানি নয়, এসব এলাকার পাহাড় ধসের ঘটনায় বহু গবাদি পশু ও ধন-সম্পদের ও হানি হচ্ছে প্রতি বছর। এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. আবুল কালামের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন লোকজন।