আন্তর্জতিক ডেস্কঃ
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ১১ জানুয়ারি চীনে প্রথম করোনায় কেউ মারা যায়। আর আজ ৬ জুন পর্যন্ত এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ৪ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। প্রথমে চীন থেকে প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। এরপর তান্ডব চালায় ইউরোপে। তবে এখন ভাইরাসটির সংক্রমণের কেন্দ্র দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকা।
প্রথম থেকেই করোনার মৃত্যু ও আক্রান্তের হিসাব দিয়ে আসা ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখন ৪ লাখ ৭৮ জন। ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখ ২০ হাজার মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। ভাইরাসটি সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় বিশ লাখ। বিশাল সংখ্যক এই আক্রান্ত মানুষের মধ্যে দেশটিতে ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষে মারা গেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছে নেই কোনো দেশ।
তবে আশার খবর হলো নভেল করোনাভাইরাস নামের এই মহামারি আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৩৪ লাখ কোভিড-১৯ শনাক্ত মানুষ। এছাড়া বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ভারতে শনাক্ত রোগী প্রায় আড়াই লাখ; বাংলাদেশে ৬৩ হাজারের বেশি।
করোনায় শনাক্ত মানুষের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরপরই রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত সাড়ে ছয় লাখের বেশি। মৃত্যু ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে দেশটিতে। এদিকে শনাক্ত রোগীতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। আর ৪০ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানটি যুক্তরাজ্যের।
প্রতিবেশী ভারতের করোনার সংক্রমণ গত কয়েকদিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। প্রতিদিন আগের দিনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙছে। আক্রান্ত হিসেবে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৪ জন; যা বিশ্বে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ হাজার ৯৪৬ জন মারা গেছে ভারতে।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬৩৫ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৩ হাজার ২৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩৫ জন। ফলে করোনায় মোট প্রানহানি ঘটেছে ৮৪৬ জনের।
করোনার এখনো কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশ মহামারি ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১২৫টিরও বেশি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলেছে। এরমধ্যে দশটি মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে। সবচেয়ে এগিয়ে আছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ