লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্কও। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি দেখা দিলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন অনেকেই। আতঙ্কিত হওয়ার আগে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা দরকার-
* আপনি কি করোনাভাইরাস পজেটিভ এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন?
* করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন কোনো স্থানে ভ্রমণ করেছেন?
* করোনাভাইরাস পজেটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ‘না’ হয় তবে আপনি আপাতত নিরাপদ। আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বছরের এই সময়ে এমনিতেই চারপাশে প্রচুর মানুষ সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। এমনটা হলে স্বাভাবিক ধরে নিন।
জেনে নিন এমন পাঁচটি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যা আপনাকে সর্দি-কাশি এবং ফ্লু থেকে বাঁচতে সহায়তা তো করবেই, পাশাপাশি বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে করোনাভাইরাস এমনিতেই ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
মধু ও আদার রস
এটি প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি। মধু ও আদার রস গলা এবং কাশির জন্য আশ্চর্য উপকার করে। এটি বমি বমি ভাব দূর করে। আদায় থাকা প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রাইনোভাইরাসকে মেরে ফেলে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচায়।
মধুতে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। এক চা চামচ মধু তাত্ক্ষণিকভাবে গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুকে মধু দেবেন না, কারণ এতে বেশিরভাগ সময় বোটুলিনাম স্পোর থাকে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।
রসুন
রসুনে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ থাকে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টি হিসাবে পরিচিত। আপনার ডায়েটে রসুন যোগ করলে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। প্রতিদিনের ডায়েটে রসুন রাখলে তা আপনাকে আরও অনেক অসুস্থতা থেকে রেহাই দিতে পারে।
সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। স্যুপের সঙ্গে রসুন অন্তর্ভুক্ত করেও খেতে পারেন।
ভিটামিন সি
আমরা সবাই জানি যে ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল ইত্যাদি ভিটামিন সি এর সহজলভ্য কয়েকটি উৎস। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
মশলা চা
নাক বন্ধ থাকলে সেটি যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আদা, গোল মরিচ, লবণ এবং তুলসী পাতা চায়ের সাথে মিশিয়ে জ্বাল করে পান করলে তা সর্দি এবং কাশির জন্য দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় তৈরি করে।
বিশ্রাম
শারীরিক কার্যকলাপ আসলে আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। অসুখ কমতে শুরু করলে আপনার বিশ্রাম নেয়া উচিত। বিশ্রামের মতো প্রতিকার নেই। দ্রুত সুস্থ হতে প্রচুর তরল পান করুন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ