আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দেশটিতে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করে এই ভাইরাস। এরপর বিশ্বের দুইশোর অধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারি। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউন ঘোষণা করে আক্রান্ত দেশগুলো। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এসব দেশের কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বাসায় সময় কাটাতে হচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে বিষিয়ে উঠেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। ছুটি তাদের কাছে একসময় আনন্দের হলেও এখন লকডাউনজনিত ছুটি তাদের কাছে এক যন্ত্রণার নাম।
নতুন এক গবেষণা বলছে, দীর্ঘ লকডাউন প্রাথমিকে পড়ুয়া শিশুদের মনে দীর্ঘ প্রভাব ফেলছে। প্রচণ্ড মানসিক অবসাদে ভুগছে তারা।
এক হাজার অভিভাবক ও শিশুদের তত্ত্বাবধায়কারীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পেয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চার থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। অভিভাবকরা বলেছেন, লকডাউনে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা অল্পতেই রেগে যাচ্ছে, কথা শুনছে না আর তর্ক করছে।
শিশুদের এমন আচরণগত পরিবর্তনের জন্য একাকিত্ববোধ, করোনা-ভীতি ও স্কুলের রুটিন এলোমেলো হয়ে যাওয়াক দায়ী করেছেন গবেষকরা।
মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক দাতব্য সংস্থা ইয়াংমাইন্ডস-এর ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর টম ম্যাডারস। তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘এই গবেষণা প্রতিবেদন দেখে বলা যেতে পারে যে, আসলে শিশুরা লকডাউনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারছে না। এটা তাদের কাছে খুব কঠিন মনে হচ্ছে। হতে পারে একাকিত্ববোধ, করোনা-ভীতি অথবা রুটিন ঠিক না থাকা বা স্কুল থেকে যে পৃষ্ঠপোষকতা তারা পেত তা না পাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে।’
সূত্র: জাগোনিউজ