ক্রীড়া ডেস্কঃ
প্যারাগুয়ের সাবেক গোলরক্ষক হোসে লুই চিলাভার্টকে তার পাগলামির জন্য কে না চেনে? বিশ্বের একমাত্র গোলরক্ষক, যার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮টি গোল। ক্লাব ফুটবলে ৪৬টি গোল। পাগলামি না করলে কি একজন গোলরক্ষকের নামের পাশে এতগুলো গোল থাকে? দলের পেনাল্টিগুলোর অধিকাংশই নিতেন তিনি।
সেই হোসে চিলাভার্ট ফুটবল ছেড়েছেন, আজ থেকে প্রায় দেড় যুগ আগে (২০০৩ সালে)। দীর্ঘদিন পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আবারও খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাবেক এই গোলরক্ষক।
হোসে লুই চিলাভার্টের মন্তব্য, মেসির যা সাফল্য, ম্যারাডোনার সাফল্য তার এক ভাগও নেই। এ জন্য তিনি মেসি এবং ম্যারাডোনার মধ্যে কোনো তুলনাই করতে রাজি নন।
মেসির যা সাফল্য, তার সবই ক্লাবের হয়ে। জাতীয় দল তথা আর্জেন্টিনার হয়ে তার সাফল্যের ভান্ডার একেবারেই শূন্য। এ কারণে ম্যারাডোনার সঙ্গে তার তুলনা করা হয়, বিশ্বকাপ সাফল্যের নিরিখে। ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে বলতে গেলে একাই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু মেসি সেটা করতে পারেননি।
কিন্তু চিলাভার্ট মনে করেন, মেসির ট্রফি কেবিনেটই তার শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করবে, ম্যারাডোনার না। রেডিও রিভাদাভিয়াকে তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহই নেই যে, মেসিই হলেন বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। মেসি যা করেছেন, ম্যারাডোনা তার এক ভাগও জিততে পারেননি।’
মেসি ইচ্ছা করলে স্পেনের হয়েও খেলতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি নিজের জন্মভূমির হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন। চিলভার্ট বলেন, ‘আর্জেন্টিনার উচিৎ মেসিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানানো। কারণ, তিনি স্পেন নয়, আর্জেন্টিনার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার খেলাটাই বিরাট এক শান্তি।’
চিলাভার্ট এবং ম্যারাডোনার মধ্যে অবশ্য সম্পর্কটা খুবই শীতল। দীর্ঘদিন দু’জনের মধ্যে সমস্যা লেগে রয়েছে। এ কারণেই সুযোগ পেলেই ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কথা বলেন চিলাভার্ট এবং সেটা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই। চিলাভার্ট বলেন, ‘ম্যারাডোনা সব সময়ই আমাকে অসম্মান করেন। আমিও তার জবাব দিই। আমি তাকে অ্যান্টি ডোপিং কন্ট্রোল নিয়ে বললে সে ক্ষেপে যায়।’
সূত্রঃ জাগোনিউজ