অনলাইন ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নাগরিক এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিদের নিয়ে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। দেশটির হজবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বেনতেন এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, মাত্র এক হাজারের মতো মানুষ এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার সৌদির এই মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ বছর বিদেশ থেকে হজযাত্রীদের আগমন নিষিদ্ধ করা হবে। এছাড়া হজে কারা অংশ নিতে পারবেন সে ব্যাপারে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ করা হবে।
আধুনিক যুগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হজে বিদেশিরা অংশ নিতে পারছেন না। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সৌদির ক্ষমতাসীন রাজপরিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মোহাম্মদ বেনতেন বলেন, এ বছর ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের কেউ হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ২৫ লাখ মুসলিম পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যান। মক্কা এবং মদিনায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করে হজের বিভিন্ন রীতি-নীতি পালন করেন তারা। আত্মনির্ভরশীল এবং স্বামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য একবারের জন্য হলেও হজ পালন করা অবশ্য কর্তব্য।
দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, প্রত্যেক বছর এই হজ এবং বছরব্যাপী উদযাপিত ওমরাহ থেকে সৌদি আরব অন্তত ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর ওমরাহ পালনও স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে সৌদি সরকার।
বেনতেন বলেন, বিশ্বের সব দেশের সব মুসলিমকেই হজ পালনের সুযোগ দিতে আগ্রহী সৌদি আরব। কিন্তু চলতি বছরের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি আমাদের এই ব্যতিক্রম হজ পালনে বাধ্য করছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেই করোনাভাইরাসের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত। প্রত্যেকেই জানেন যে, বর্তমানে সব দেশ বন্ধ। হজের সময় হজযাত্রীদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ার আরও ঝুঁকি রয়েছে। হজযাত্রীদের সুরক্ষাই সৌদির অগ্রাধিকারের প্রধান বিষয়।
মহামারি করোনার ভয়াল থাবা সৌদি আরবে চলছে। দেশটিতে বর্তমানে এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন এক হাজার ৩০০ জনের বেশি। গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু আগের চেয়ে বেড়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, হজ স্থাপনার সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা এবং হজের সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স, ট্যুডে অনলাইন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ