অনলাইন ডেস্কঃ
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৪ জন।
মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৭২৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৬ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪৩ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০২ জনে দাঁড়াল।
আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৪৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৯২ লাখ ছাড়িয়েছে; মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ২৮ হাজার পেরিয়ে গেছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে সনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৬টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন, নারী ৭ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৩২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের এবং ৪ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৮০২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৫৮ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩০৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬২৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৩৩৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩২৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪০৬ জন খুলনা বিভাগের, ১৮০ জন বরিশাল বিভাগের, ২১৬ জন সিলেট বিভাগের, ২২৮ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
সূত্রঃ বিডিনিউজ