অনলাইন ডেস্কঃ
নারী নির্যাতনকারীদের প্রশ্রয়দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধর্ষণ নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় অপরাধ এবং সামাজিক ব্যাধি। এ সকল চরম ঘৃণিত কাজের সাথে যারা জড়িত তারা বিকৃত রুচির অপরাধী। সরকার এ ধরনের প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান করছে।
“তবুও কোথাও না কোথাও এ অপরাধ ঘটছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশেও ধর্ষণের মতো ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ধরনের সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানোর এক মাস পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী রোববার রাতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওই মামলার প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সব ইস্যু নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অন্তত এই ধরনের একটি ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
“সমাজবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ চলাচল এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নিন্দনীয় অপকর্ম রুখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অপরাধীদের প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের আওতায় আনতে সহযোগিতা করুন। প্রশ্রয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনব।”
ধর্ষণের সঙ্গে সরকারি দল সমর্থিত ছাত্র-সংগঠনের নাম আসছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাদের বলেন, “সরকার ক্ষমতায় সরকার কীভাবে দায় এড়াবে। সরকার এটাকে আবার প্রশ্রয়ও দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়ে এসব ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, আমাদের দলীয় পরিচয়েও কেউ থাকে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সেটা শুধু মুখে বলা হচ্ছে না বাস্তবেও কার্যকর করা হচ্ছে।”
দৃশ্যমাণ কোনো শাস্তি কিন্তু দেখা যাচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কোনটা হয়নি? রিফাত হত্যার রায় সেদিন তো হয়ে গেল। ফেনীর নুসরাত সেটিরও তো রায় হল। শাস্তি কী দুদিনেই বিচার হবে। এগুলো তো হচ্ছে। সব ব্যাপারেই শাস্তি হবে। ওয়াহিদার উপর যে হামলা হয়েছে, সেই ব্যপারেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলীয় পরিচয়ের নামও শোনা গেছে, কিন্তু কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি।
“আবরার হত্যাকাণ্ডে যারা আসামি তাদের প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ পরিচয়ের, তাদের কী শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে না চার্জশিট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে।”
সূত্র: বিডিনিউজ