সোয়েব সাঈদঃ
রামুর কৃতি সন্তান, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জনি রাজ দে কে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে রামুতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। রামু উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় চৌমুহনী স্টেশনে চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।
রামু উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রেফারী সুবীর বড়ুয়া বুলু, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, জেলা যুবলীগ নেতা ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, কক্সবাজার জেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শিপন পাল, রামু উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ সিকদার, বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুমন চক্রবর্তী পাইলট, রামু উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি সুজন চক্রবর্তী প্রমূখ।
সমাবেশে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, তরুন উদীয়মান শিল্পী জনি রাজ দে দেশের সম্পদ ছিলো। তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা ডাকাতি হতে পারে না। কোন স্বার্থান্বেষি মহল পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে এ হত্যাকান্ডের সুরাহা না হলে সর্বস্তুরের জনতাকে নিয়ে আরো বৃহৎ আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূটি দেয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রামু উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক বলেন, জনির মতো নিষ্পাপ তরুন, শিল্পী, শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আইনশৃংখলা বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা পালনের আহবান জানান তিনি।
এছাড়া সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রতন মল্লিক, রামুকুট তীর্থধাম প্রতিনিধি বিজয় ধর, সাংবাদিক সোয়েব সাঈদ ও খালেদ হোসেন টাপু, রামু উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ শর্মা, সহ সভাপতি রনজিত কুমার দে, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে দোলন পাল, ছোটন কান্তি দে, রনি মূখার্জি, জৌাতি মল্লিক, অন্তর দে বিশাল, তারাপদ ধর বটু, সমীর চৌধুরী প্রাচীরসহ উত্তর ফতেখাঁরকুল হরি মন্দির পরিচালনা পর্ষদ নেতৃবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।