সুনীল বড়ুয়া:
রামুর চেইন্দা এলাকায় অবস্থিত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবে শুটিং চলাকালে দুর্বৃত্তদের হামলার সময় চিত্র নায়িকা পরী মণি শ্যুটিং স্পটে ছিলেন না। ঘটনার আগেই তিনি শুটিং শেষ করে বাইরে চলে যান। তাঁকে অপহরণের অপহরণের চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে চিত্রনায়িকা পরী মনিকে অপহরণ চেষ্টার করা হয়েছে বলে যে খবরটি প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার ম্যানেজার মোহাম্মদ উজ্জ¦ল শেখ।
তিনি বলেন,গত বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবে জাজের ‘রক্ত’ ছবির শ্যুটিং চলছিল। এ শুটিংয়ে সবমিলে ২৪৫ জন শিল্পী ও কলাকুশলী ছিলেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ক্লাবে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীরা চাঁদা দাবি করেন। এ দাবি না মেটানোয় শ্যুটিং শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই নিরাপত্তা কর্মীরাসহ দুর্বৃত্ত শুটিংস্পটে হামলা চালায়।
এ হামলার তাদের দলের সুমি ও রফিকসহ তিনজন কুশলী সামান্য আহত হন। তাদের কক্সবাজার মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনা চলাকালে চিত্র নায়িকা পরী মণি শুটিং স্পটেই ছিলেন না। তাই তাকে অপহরণের চেষ্টার প্রশ্নই ওঠেনা। তিনি দাবি করেন,সংবাদটি অতিরঞ্জিতভাবে পরিবেশন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিষয়টি তারা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিন দুর্বৃত্তকে আটক করে। এরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার মৌলভীপাড়ার হামিদুল হক হামিদ (২৪), রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি মুসলিমাবাদ এলাকার কাউসার আলমগীর আরাফাত (২৭) ও কোলাপাড়া টুলাটুলি এলাকার সজীব ভুইয়া সেলিম (২৭)।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধরও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, নায়িকা পরীমণিকে অপহরণের বিষয়টি সঠিক নয়। মূলত ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় কয়েকজন বখাটে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এ দাবি না মেটানোয় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন,পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে। এর পর থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা (জাজ মাল্টিমিডিয়া) মামলা দিতে আগ্রহ দেখায়নি।