এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলে এবার থেকে জিপিএ’র সঙ্গে নম্বরও প্রকাশ করা হবে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন।
শনিবার ঢাকা মহানগরীর কলেজ অধ্যক্ষদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, “এখন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রেড পয়েন্টের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরও থাকবে টেবুলেশন শিটে।
“এবার এইচএসসিতেই গ্রেড পয়েন্টের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর যাতে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজের প্রাপ্ত নম্বরও এখন থেকে জানতে পারবে।”
২০০১ সাল থেকে এসএসসি ও ২০০৩ সাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট নম্বরভিত্তিক সনাতন পদ্ধতির ফল প্রকাশ বাতিল করে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়।
আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের পাওয়া নম্বর যোগ করে মোট নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ নির্ধারিত হতো।
কিন্তু জিপিএ পদ্ধতিতে নির্ধারিত সীমার নম্বর অনুযায়ী কয়েকটি গ্রেড করা হয়; প্রতি গ্রেডের বিপরীতে রাখা হয় একটি নির্দিষ্ট গ্রেড পয়েন্ট। আর সব বিষয়ে গ্রেড পয়েন্টের গড় করে নির্ধারিত হয় একজন পরীক্ষার্থীর ফল।
‘টেবুলেশন শিটে’ বিষয়ের বিপরীতে শুধু গ্রেড পয়েন্ট থাকায় বিষয়ভিত্তিক ও মোট নম্বর- কোনোটাই জানার সুযোগ ছিল না কারও। এবার থেকে গ্রেড পয়েন্টের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জানান, এবার অনলাইনে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর আলাদা করে দেওয়া থাকবে। তাছাড়া যারা বিজ্ঞান বিভাগে রয়েছে তাদের ব্যবহারিক নম্বরও সেখানে থাকবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীই কেবল তা দেখতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রাজধানীর ধানমণ্ডির নায়েম মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালার ব্যব্স্থাপনায় ছিল অধিদপ্তরের মনিটরিং ও ইভালুয়েশন উইং।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বক্তব্য রাখেন।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।