অনলাইন ডেস্কঃ
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় গতবছর এক গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ছালাম খান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অভিযোগপত্রের অপর নয় আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে বলে ট্রাইবুনালের পিপি ফিরোজ আহমেদ জানিয়েছেন।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া তিন আসামি হলেন- ডামুড্যা উপজেলার চরঘরোয়া গ্রামের খোরশেদ মুতাইতের ছেলে আব্দুল হক মুতাইত (৪২), দাইমী চরভয়রা গ্রামের মজিত মুতাইতের ছেলে জাকির হোসেন মুতাইত (৩৩) এবং গোসাইরহাট উপজেলার মধ্যকোদালপুর গ্রামের লুৎফর খবিরের ছেলে মোর্শেদ উকিল (৫৬)।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। সাজা ঘোষণার পর তাদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডামুড্যা উপজেলার চরভয়রা উকিল পাড়া গ্রামের খোকন উকিলের স্ত্রী হাওয়া বেগমকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় এই মামলা দায়ের হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সেদিন রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বের হন হাওয়া বেগম। কিন্তু এরপর আর ফেরেননি।
পরদিন গ্রামের মজিবুর রহমানের পরিত্যক্ত ঘরে হাওয়া বেগমের লাশ খুঁজে পান তার মেয়ে ময়না আক্তার।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী খোকন উকিল বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে ডামুড্যা থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
তাদের তিনজন হাওয়া বেগমকে দলবেঁধে ধর্যণ এবং পরে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মোট ১২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
সেখানে বলা হয়, হাওয়া বেগমকে ওই পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
বুধবার রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, “এ রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। বাদী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, “এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ