অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর এর নেতৃত্বে এস আই/ স্বপন বড়ুয়া, এএসআই/ শিমুল কান্তি চৌধুরী সঙ্গীয় কং/১২১২ রুবেল মজুমদার, কং/৭৯৩ গনেশ চন্দ্র মজুমদার, কং/১০৪৪ সবুজ চক্রবতী, কং/৩১৬ জিয়া উদ্দিন, সকলেই রামু থানা, কক্সবাজার এবং এদের সহায়তায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। মোঃ হোছন প্রকাশ হোছন ডাকাত (৪৫), পিতা-মোঃ কালু, সাং-নতুন বাজার, ধলিরছড়া, রশিদনগর, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার এবং তাহার দখল হইতে উদ্ধারকৃত ১। ১২ বোর এর দেশীয় তৈরী কাঠের বাটযুক্ত ১টি একনালা বন্দুক। যাহা বাটসহ লম্বা অনুমান ২৩ ইঞ্চি, বন্দুকের ট্রিগার এবং ফায়ারিং পিন সচল আছে এবং ২। ০৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ যাহার পিছনে ইংরেজীতে SELLIER & BELLLOT 12 লিখা আছে উদ্ধার পূর্বক থানায় হাজির হইয়া এজাহারনামীয় উপরোক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামী এবং পলাতক আসামী ২। জাহাঙ্গীর আলম প্রঃ জাহাঙ্গীর ডাকাত (৩০),পিতা-মোঃ আলম,সাং-রশিদনগর (মুরা পাড়া), ৯নং ওয়ার্ড, ৩। আব্দুল্লাহ প্রঃ আব্দুল্লাহ ডাকাত (২৭),পিতা-আবু সিদ্দিক, সাং-নন্দাখালী (উত্তর পাড়া), ৩নং ওয়ার্ড, জোয়ারিয়ানালা, ৪। ফেরদৌস প্রঃ ফেরদৌস ডাকাত (২৬), পিতা-মোঃ ইসলাম, সাং-মুরাপাড়া (রশিদনগর), ৫। মঞ্জুর আলম প্রঃ মঞ্জুর ডাকাত (৩০),পিতা-মোঃ কালু,সাং-নন্দাখালী পূর্ব পাড়া, ৩নং ওয়ার্ড, জোয়ারিয়ানালা, ৬। আবুল কালাম প্রঃ কালাম ডাকাত (২৭), পিতা-জঙ্গ সিদ্দিক, সাং-নন্দাখালী উত্তর পাড়া,৩নং ওয়ার্ড, জোয়ারিয়ানালা সর্ব থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার ৭। আমানু প্রঃ আমানু ডাকাত (৩০), পিতা- ইসলাম, সাং-কাহাতিয়া পাড়া, রশিদনগর, ৮। আক্তার হোসেন প্রঃ আক্তার ডাকাত (২৫), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, ৯। ইসহাক খলিল প্রঃ ইসহাক ডাকাত (৩৪), পিতা-নুর আহাম্মদ, উভয়সাং- পূর্ব মেরংলোয়া, ১০। দিদারুল প্রকাশ দিদার ডাকাত (৩২), পিতা-মোঃ ইসলাম, সাং-নন্দাখালী (বড় পাড়া), ৩নং ওয়ার্ড, ১১। ছৈয়দ আমিন প্রঃ ছৈয়দ ডাকাত (৩২), পিতা-আব্দুর শুক্কুর, সাং-মুড়াপাড়া, নন্দাখালী, ১২। আব্দুল হাকিম (৩৮), পিতা-মৃত ফজল করিম, সাং-শ্রীমুড়া (পশ্চিম পাড়া), ৭নং ওয়ার্ড, ১৩। শাহিন প্রকাশ শাহিন ডাকাত (২৭), পিতা- মোঃ ইসলাম, সাং-মাঝিরকাটা,গর্জনিয়া ইউপি, সর্ব থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি রামু থানার জি,ডি নং-৩২৪, তাং-০৭/৮/১৬ ইং তারিখ মূলে রামু থানা এলাকায় রাত্রী কালীন আইন শৃংখলা ডিউটিতে নিয়োজিত ছিলাম।
রামু থানাধীন রামু ডিগ্রী কলেজের সম্মুখে ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা কালীন বিশ্বস্থ সূত্রে জানিতে পারি যে, ডাকাতরা রামু থানাধীন পুরাতন বাইপাস এর অনুমান ১৫০ গজ দক্ষিণে মহাসড়ক ব্রীজের পাশে পাহাড় সংলগ্ন স্থানে উল্লেখিত স্থানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়া ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমাবেত হইয়া ডাকাতির জন্য পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহন করিতেছে।
উক্ত সংবাদটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া ইহার সত্যতা যাচাই সহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্ত্বে সঙ্গীয় বর্ণিত ফোর্সসহ সরকারি গাড়ী যোগে ০৭/৮/১৬ ইং তারিখ রাত ২২.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গেলে ডাকাতেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া পুলিশকে লক্ষ্য করিয়া তাহাদের সংগে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়া এলোপাতাড়িভাবে গুলি বর্ষণ করে।
পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও সরকারি অস্ত্র গুলি রক্ষার্থে তখন আমার নির্দেশে পাল্টা গুলি বর্ষণ করিতে থাকে। তখন কং/১০৪৪ সবুজ চক্রবর্তী তাহার নামীয় ইস্যুকৃত সরকারি শটগান দ্বারা ০৭ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে এবং কং/১০১২ রুবেল মজুমদার তাহার নামীয় ইস্যুকৃত সরকারি শটগান দ্বারা ০৮ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। ডাকাতদের সাথে আমাদের অনুমান ২৫/৩০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। ঘটনার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করিয়া ডাকাতেরা অনুমান ৫০/৬০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখিয়া ডাকাতেরা কৌশলে পাহাড়ের উপর হইতে তাহাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়া জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ডাকাতদেরকে ধাওয়া করিয়া মোঃ হোছন প্রকাশ হোছন ডাকাত এর হাতে থাকা বর্ণিত ১২ বোর এর একনালা ১টি বন্দুক এবং পরিহিত লুঙ্গির কোমরে গোজানো ০৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ তাহাকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করি। আসামীকে গ্রেপ্তার কালে ধস্তাধস্তিতে শরীরে সামান্য জখম প্রাপ্ত হয়।
তখন আমাদেরকে চিৎকার শুনিয়া আশপাশ হইতে ১। আব্দুল খালেক (৩২), পিতা-মৃত আবু বকর, মাতা-হাফেজা খাতুন, ২। আব্দুর রহিম (৩৬), পিতা-মৃত নাছিম, উভয় সাং-উত্তর মিঠাছড়ি, ২নং ওয়ার্ড, হাসপাতাল পাড়া, ৩। রমজান আলী চৌকিদার (৩৬), পিতা-সমছু আলম, সাং-মন্ডলপাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, ফতেখারকুল ইউপি, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার সহ আরো ৭/৮ জন লোক আমাদের পাশে আসিয়া দাঁড়ায়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের জনৈক বিশিষ্ট সওদাগরের বাড়ীতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ডাকাতেরা উক্ত ব্রীজের পাশে দেশীয় তৈরী বর্ণিত অস্ত্রশস্ত্র সহ ডাকাতির জন্য সমাবেত হইয়াছে। পলাতক ডাকাতরা অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের নাম ঠিকানা জানে বলিয়া জানায়। ডাকাতদের সহযোগী ডাকাতেরা সাথে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত পলাতক ডাকাতদের উক্তরূপ নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দখলে থাকা ১। ১২ বোর এর একনালা ১টি বন্দুক, ২। ০৫ রাউন্ড কার্তুজ, এবং পলাতক ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ৩। ১টি লোহার পাইপ এর ডাডসংযুক্ত দা, যাহা ডাড সহ লম্বা অনুমান ২১ ইঞ্চি এবং ৪। ১টি লোহার খন্ডা, যাহা লম্বা অনুমান ৩৬ ইঞ্চি পাইয়া উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে ০৭/৮/১৬ ইং তারিখ রাত ২৩.২০ ঘটিকায় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করি এবং জব্দ তালিকায় বর্ণিত সাক্ষী ১। আব্দুল খালেক, ২। আব্দুর রহিম, ৩। রমজান আলী চৌকিদার সহ কং/১২১২ রুবেল মজুমদারদের স্বাক্ষর গ্রহন করি।
তথায় উপস্থিত লোকজন উচ্চস্বরে বলে ডাকাতদের অত্যাচারে এলাকার জনগণ অতিষ্ট হইয়া পড়িয়াছে । ডাকাতি ও অপহরণ তাহাদের নেশা ও পেশা বলিয়া জানায়। ধৃত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা কালে ধস্তাধস্তিতে সামান্য জখম প্রাপ্ত হয়। জখম প্রাপ্ত ডাকাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। (চিকিৎসার শ্লীপ সংযুক্ত)।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতকে নিয়া পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে এবং পলাতক ডাকাতদের ফেলিয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দাখিলে বিলম্ব হইল। ডাকাতরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়া ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমাবেত হইয়া প্রস্তুতি গ্রহন করিয়া পেনাল কোড ৩৯৯/৪০২ ধারার অপরাধ করায় এবং দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধভাবে নিজেদের দখলে রাখিয়া The arms Act 1878 এর 19 A ধারার অপরাধ করায় ডাকাতদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে এজাহার দায়ের করা হইল।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ হোছন প্রকাশ হোছন ডাকাত এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানার মামলা নং-৭১, তাং-২২/১০/১৪ইং, ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬/৭/৮ এবং জি,আর ৪৭/০১, ধারা-৩৯৬ পেনাল কোড এর অভিযুক্ত আসামী এবং পলাতক আসামী ২। জাহাঙ্গীর আলম প্রঃ জাহাঙ্গীর ডাকাত, ৩। আব্দুল্লাহ প্রঃ আব্দুল্লাহ ডাকাত, ৪। ফেরদৌস প্রঃ ফেরদৌস ডাকাত, ৫। মঞ্জুর আলম প্রঃ মঞ্জুর ডাকাত (৩০), ৬। রহিম আলী প্রঃ রহিম ডাকাত (২৮), ৭। রহমত আলী প্রঃ রহমত ডাকাত (৩৫), ৮। আবুল কালাম প্রঃ কালাম ডাকাত (২৭), ৯। আমানু প্রঃ আমানু ডাকাত (৩০), পিতা- ইসলাম, সাং-কাহাতিয়া পাড়া, রশিদনগর, ১০। আক্তার হোসেন প্রঃ আক্তার ডাকাত, ১১। ইসহাক খলিল প্রঃ ইসহাক ডাকাতগন ১। রামু থানার মামলা নং-২৯, তাং-২৯/৬/১৬ ইং, ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড, ২। রামু থানার মামলা নং-৩০, তাং-২৯/৬/১৬ ইং, ধারা- ঞযব ধৎসং অপঃ. ১৮৭৮ এর ১৯ অ, ৩। রামু থানার মামলা নং-১৯, তাং-১৯/৭/১৬ ইং,ধারা- ঞযব ধৎসং অপঃ. ১৮৭৮ এর ১৯ অ. এবং ৪। থানার মামলা নং-১৮, তাং-১৯/৭/১৬ ইং ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এর এজাহারনামীয় পলাতক আসামী হয়। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে সূত্রে বর্ণিত মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ হোছন প্রকাশ হোছন ডাকাতকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ্দ করা হইয়াছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত মোহাম্মদ হোছন প্রকাশ হোছন ডাকাত কক্সবাজার জেলার রামু থানা, কক্সবাজার সদর থানা, চকরিয়া থানা, এলাকায় ডাকাতি, খুন, অস্ত্র ব্যবসা, ইয়াবা ব্যবসা, চাঁদাবাজী সহ সকল জঘন্য অপরাধের একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাহার গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদে এলাকার মধ্যে সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিতেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক কাটিয়াছে। এই সংক্রান্তে পুলিশ পক্ষ থেকে বাদী হইয়া নিয়মিত মামলা রুজু করা হইতেছে। তদন্ত অব্যাহত আছে।