শিক্ষা ডেস্কঃ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করার দুই বছর পরও এমপিও হতে পারছেন না এক হাজার ২৭০ জন শিক্ষক প্রার্থী।
পদ না থাকার পরও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ দেখিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর বিপরীতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তাদের এমপিওভুক্তির সুপারিশ করে। কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন- তাদের জন্য কোনো পদ শূন্য নেই। এতে তাদের কপাল পুড়েছে।
প্রতিষ্ঠানের এমন ভুলে তারা কেনো এমপিও পাবে না এমন দাবি নিয়ে গত ২ বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। সবশেষ ২০২০ সালের জুনে এ সংকট সমাধানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নির্দেশ দিলেও ৬ মাসে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এসব প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) তারা এনটিআরসিএ নতুন চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন। বঞ্চিতরা জানান, তারা ২০১৮ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্য হন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভুল তথ্যের কারণে তাদের নিয়োগ ও এমপিও হচ্ছে না। দুই বছর ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরতে ঘুরতে এখন হতাশ হয়ে গেছেন তারা।
এনটিআরসিএ নতুন চেয়ারম্যান দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নতুন চেয়ারম্যান আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান আশ্বাস পূরণে বিলম্ব করলে আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গত বছর ১ জুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মহিলা কোটা নবসৃষ্ট পদ, প্যাটার্ন জটিলতা, নব-যোগদানকারী নিয়োগ ও এমপিওবঞ্চিত সব ভূক্তভোগীদের সমস্যা নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে তৎকালীন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব সমস্যা সমাধানে এনটিআরসিএ-কে ৬টি দিকনির্দেশনা দেন।
এরপর গত ৬ মাসে মহিলা কোটা, নবসৃষ্ট ও অন্যান্য পদের সমাধান হলেও নিয়োগ ও এমপিওবঞ্চিত ১ হাজার ২৭০ জনের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনটিআরসিএ।
সূত্রঃ জাগোনিউজ