সোয়েব সাঈদঃ
জাতীয় শ্রমিকলীগ রামু উপজেলা সভাপতি শফিকুল আলম কাজল ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় শ্রমিকলীগ রামু উপজেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
রামু উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল রামু চৌমুহনী, তেমুহনী, বাইপাস সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনী স্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, জেলা তাঁতীলীগের সহ সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টো, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ রামু উপজেলা সভাপতি মিজানুল হক রাজা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক বাবু, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারি একেরামুল হাসান ইয়াছিন, উপজেলা প্রজন্মলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহেদ, রামু উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক চম্পক বড়ুয়া, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন সভাপতি কলিম উল্লাহ, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, ঈদগড় ইউনিয়ন সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ নেতা হেলাল, রশিদনগর শ্রমিকলীগ সভাপতি বাবুল, খুনিয়াপালং শ্রমিকলীগ আহবায়ক নুরুল আলম, যুগ্ন আহবায়ক ছৈয়দ আলম প্রমূখ। প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের অর্থ সম্পাদক নুরুল আবছার বাহাদুর।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন- জাতীয় শ্রমিকলীগ রামু উপজেলা সভাপতি শফিকুল আলম কাজল ও তার মা, ভগ্নিপতি, ভাগনি সহ পরিবারের সদস্যদের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত প্রধান ২ আসামী ধরা পড়লেও এখনো অন্যরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। তারা এখনো আহতদের বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি দিচ্ছে। তাই বর্বরোচিত এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর রামুর ফতেখারকুল ইউনিয়নের লম্বরীপাড়ায় শ্রমিকলীগ সভাপতি কাজলের বোনের বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় একটি চক্র। এসময় বোনের পরিবারকে বাঁচাতে গিয়ে শফিকুল আলম কাজল এবং তার বৃদ্ধ মা সহ ৪ জন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।