অনলাইন ডেস্কঃ
আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। তাই করোনাকালে কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা যায় সে বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে সকলকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল যৌথসভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ দুই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দফতর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূণরায় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে সকল স্তরের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হতে পারে। তবে চলতি বছরের এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শেষ করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হবে। এজন্য দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দ্রুত নির্দেশনা পাঠিয়ে দেয়া হবে। আগামী শনিবার থেকে শিক্ষকদের নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতেও নির্দেশনা দেয়া হবে।
জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ কী কী হতে পারে তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করে দুই মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য তৈরি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মৌখিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। সেটি চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রি ওপেনিং প্ল্যান কী কী হবে সেসব বিষয় নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগামি ফেব্রুয়ারি থেকে খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পাঠদান করতে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সকল বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। সেটি অনুসরণ করে শিক্ষকরা ক্লাস পরিচালনা করবেন।’
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে খোলা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা হলেও সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না। মফস্বল পর্যায়ে যেখানে করোনার প্রদুর্ভাব কম, সেখানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হতে পারে। যেহেতু শহরের শিক্ষার্থীরা টিভি, অনলাইন, রেডিওতে সম্প্রচারিত ক্লাসে যুক্ত রয়েছে এবং মফস্বলের অনেক শিক্ষার্থী সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় শুরুতে গ্রামের স্কুল খুলে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে মধ্যামিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘কীভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করা যায় সেসব বিষয় নিয়ো আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ জাগোনিউজ