আবদুল হামিদ, বাইশারী:
কোন ধর্মঘট বা হরতাল নয়। নাইক্ষ্যংছড়ির-বাইশারী-ঈদগড় সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বৃহস্পতিবার ১১ আগষ্ট সকাল থেকে।
এখন দুই ইউনিয়নের লাখো মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে ১০ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে মানুষের।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১০ কি.মি. বাইশারী- ঈদগড় পাকা সড়কটি খানখন্দে ভরা, কোথাও কোথাও পাহাড়ী ছড়ায় রূপ ধারণ, আবার অনেক জায়গায় চাষাবাদের জমিতে পরিণত, আবার অনেক জায়গায় কালভার্টগুলো ভেঙ্গে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
মোদ্দ কথা হল, সব মিলিয়ে গাড়ি চলাচলতো দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়াও এখন বিপদ জনক। যেকোন মুহুর্তে পা পিঁছলিয়ে মানুষের হাঁড়গোড় ও কোমর ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বাইশারীতে দায়িত্বরত হিল লাইন মিনিবাস মালিক সমিতির কাউন্টার ম্যানেজার সেলিম উদ্দিন রামুনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের সমিতির অধিকাংশ গাড়ি এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। অনেকগুলো গাড়ি সড়ক নষ্ট হওয়ার কারণে রাস্তার পাশেই পড়ে রয়েছে। যার ফলে যানবাহন নিয়ে কোন ড্রাইবার আসতে চায়না। তাই সকাল থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বাইশারী-ঈদগড় সড়কে গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বাইশারীর তিনটি বাজারে মালামাল আনা নেওয়া বন্ধ হয়েছে বলে জানান বাজার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর। তাছাড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার কারণে রোগীদের অবস্থাও করুণ দশায় পরিণত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মির্জা হাবীব বেগ।
হিল লাইন মালিক সমিতির ঈদগাঁও অফিসের অফিস ইনচার্জ মুফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে তাদের সমিতির অনেকগুলো মিনিবাস বাইশারী-ঈদগড় সড়কে চলাচল করায় এখন অকেজো। তাছাড়া রাস্তাটি এখন যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে চালকেরা গাড়ি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শুনার সাথে সাথে তিনি নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গা ঈট ও বালি দিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। অবশ্যই শুক্রবার থেকে গাড়ি চলাচল করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।