অনলাইন ডেস্কঃ
সারাদেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার জন সংরক্ষিত বনভূমি ও অন্যান্য বনভূমি দখল করেছেন। এর মধ্যে জবরদখল করা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩.০৬ একর সংরক্ষিত বনভূমি; দখলদারের সংখ্যা ৮৮ হাজার ২১৫ জন। এছাড়া ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৪৫.৭৮ একর অন্যান্য বনভূমির দখলদারের সংখ্যা ৭২ হাজার ৩৫১ জন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
অবৈধভাবে দখল করা বনভূমি উদ্ধারে একটি প্ল্যান অব অ্যাকশন গ্রহণ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কল-কারখানা স্থাপনে যে বনভূমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে কমিটি বন অধিদফতরের অধীন মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মতৎপরতা নিয়মিত তদারকি করতে সুপারিশ করে।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৬টি অভিযান চালিয়ে ২ হাজার একটি মামলার মাধ্যমে ৩১ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা আদায় ও ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদানসহ ৫৪২টি ইটভাটা উচ্ছেদ বা আংশিক ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয়, সুন্দরবনে বর্তমানে ‘সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প চলমান। ওই প্রকল্পটি ২ হাজার ৪৯৫.৬০৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২০ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। সুন্দরবনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধা সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রকল্পটি সুন্দরবন পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম, মো. রেজাউল করিম বাবলু এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ