ক্রীড়া ডেস্কঃ
পিছিয়ে পড়া দলকে বদলি নেমে পথে ফেরালেন লিওনেল মেসি। সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় এগিয়েও গেল তারা। ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চ ছড়ালো রিয়াল বেতিস। শেষে গিয়ে ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের দারুণ গোলে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বার্সেলোনা।
প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে লা লিগায় নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কুমানের দল।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে ফিরল কাতালান ক্লাবটি। তিনে নেমে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলের পয়েন্ট অবশ্য সমান ৪৩, ২১টি করে ম্যাচ খেলেছে তারা।
দুই ম্যাচ কম খেলে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও দুই গোলরক্ষকের কাউকেই কেউ ভাবাতে পারছিল না। এর মাঝে অষ্টম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বার্সেলোনা; চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ছন্দে থাকা ডিফেন্ডার রোনালদ আরাহো। তার জায়গায় কোচ কুমান মাঠে নামান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে আলো ছড়ানো ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে!
বল দখলে পিছিয়ে থাকা বেতিস ২৫তম মিনিটে একটি হাফ-চান্স পেয়েছিল; কিন্তু হেড লক্ষ্যের ধারেকাছে রাখতে পারেননি হুয়ানমি।
ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি ২৮তম মিনিটে পায় বার্সেলোনা। কিন্তু জর্দি আলবার ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হেডে হতাশ করেন ক্লেমোঁ লংলে।
১০ মিনিট পর দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যায় বেতিস। ডান দিক থেকে এমেরসনের বাড়ানো চমৎকার ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ইগলেসিয়াস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফিরতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু ডি-বক্সে বাইরে থেকে অস্কার মিনগেসার বুলেট গতির শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকান গোলরক্ষক জোয়েল রোবলেস।
আক্রমণের ধার বাড়াতে বাধ্য হয়ে ৫৭তম মিনিটে রিকি পুসের বদলি হিসেবে মেসিকে নামান কোচ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নামিয়েছিলেন পেদ্রিকে।
মাঠে নামার দুই মিনিটের মাথায় দারুণ নৈপুণ্যে দলকে সমতায় ফেরান মেসি। ডান দিকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সের মুখে পেয়ে একটু এগিয়ে বাঁ পায়ের শটে কাছের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন তারকা।
৬৫তম মিনিটে গ্রিজমানের দারুণ পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো শট নেন দেম্বেলে। এগিয়ে এসে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর সৌভাগ্যসূচক গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মেসির দারুণ পাস ধরে জর্দি আলবা বাড়ান গোলমুখে, শট নিতে পারেননি গ্রিজমান। বল তার পেছনের পা, সামনের পা হয়ে পেছনে ছুটে আসা ডিফেন্ডার ভিক্তর রুইসের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
লড়াইয়ে নাটকীয়তার তখনও ঢের বাকি। ৭৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাঁ থেকে নাবিল ফেকিরের ক্রসে হেডে সমতা টানেন রুইস।
অবশেষে ৮৬তম মিনিটে আসে ত্রিনকাওয়ের জয়সূচক গোল। ডি-বক্সে বেতিস বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান তরুণ পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। তার জোরালো শট ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
মৌসুমের শুরুর দিকের ছন্দহীনতা কাটিয়ে দারুণ ছন্দে ছুটে চলা বার্সেলোনা এই নিয়ে লিগে টানা ছয় ম্যাচ জিতলো, অপরাজিত আছে টানা ১১ ম্যাচ।
২২ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে বেতিস।
সূত্রঃ বিডিনিউজ