আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মারা যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪১। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৬৫ জন। ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮ কোটি তিন লাখ ৪৩ হাজার ৪৮৭ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার ২৪০। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯২২ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ৮১৯ জন।
সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪১৩। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৮৪ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫১ জন।
এদিকে ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ২৯৮ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৭ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৩ জন।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৭৪৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৭৮ হাজার ৬৮৭ জন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ৪২২ জন।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৫। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫২৯ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ২০ লাখ ৫৬ হাজার ২৬১ জন।
ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৬৮৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৮০ হাজার ৮০৩ জন। দেশটিতে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭৫৩ জন।
এদিকে, স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫৪। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার ২১৭ জন। ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪০৩। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯২ হাজার ৭২৯ জন।
এছাড়া ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের অবস্থান তালিকায় ৮৩তম স্থানে। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সূত্রঃ জাগোনিউজ