আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে ‘চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত’ হচ্ছে বলে অভিযোগ করে জাতিসংঘের তদন্ত আহ্বান করেছেন দেশটির প্রায় ৩০০ জন এমপি (পার্লামেন্ট মেম্বার)। এই অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে সামরিক বাহিনীর দিকে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভ্যুত্থান বিরোধীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। জেনেভায় অবস্থিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো চিঠিতে দেশটির এমপিরা এ অভিযোগ করেন।
এর আগে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূতও নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গুলি চালানোর প্রমাণ আছে বলে জানান। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের অনুমতি দিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
শুক্রবারও দেশটির বর্তমান সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লায়িংয়ের ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা সু চিসহ সব বন্দি নেতাদের মুক্তি দাবি করেছেন। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে ‘বিভক্তি’ রোধে ‘ঐক্যের’ ডাক দিয়েছেন জেনারেল মিন।
এদিনও প্রতিবাদ সমাবেশে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, বিক্ষোভে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ ও আটক করছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের বাকবিতণ্ডা করতে দেখা গেছে।
এদিকে, ‘অব্যাহতভাবে ভুয়া তথ্য’ ছড়ানোর কারণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক ফেসবুকে দেয়া কন্টেন্টের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
সূত্রঃ জাগোনিউজ