এ.এম হোবাইব সজীব,চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খোন্দকারপাড়ার কয়েক হাজারজন মানুষের বসতির বাপ দাদার ভিটেবাড়ি, পবিত্র কবরস্থান, মসজিদ ও চাষাবাদের শত শত একর ধানি জমি এবং মৌসুমী শাক-সবজি ও আঁখ চাষের অসংখ্য জমি অচিরেই চকরিয়ার মাতামুহুরীর রাক্ষুসে গ্রাসে বিলীণ হতে চলেছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজ এবং মাদরাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র হাটা-চলার পথটির মাঝখানে প্রধান যাতায়াতের একটি অংশ সর্ম্পূণ রূপে বিলীণ হয়ে গেছে মাতামুহুরীর পেটে। চকরিয়ার শত সন্তানের জীবন কেড়ে নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি সু-চতুর এ নদী। গত বর্ষা মৌসুমে রাক্ষুসে এ মাতামুহুরী নদী এলাকার বাইরেও আরো অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মসজিদ ও ফসলি অনেক জমি গ্রাস করে নিয়েছে।
অপরদিকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে চকরিয়া-বদরখালী এবং পাশ্ববর্তী উপজেলা মহেশখালী যোগাযোগের প্রধান সংযোগ সড়কের উপর স্থাপিত বাটাখালী টানা ব্রীজটি। বিশেষ করে এ ব্রীজটির পূর্বপাড়ের কিনার ভাংতে ভাংতে ক্রমাগতভাবে উত্তর কাহারিয়াঘোনা ও খোন্দকারপাড়ার হাজার হাজার মানুষের বসতির উপর প্রভাব ফেলেছে মারাত্মকভাবে। এ এলাকার অধিকাংশ লোকই হত-দরিদ্র।
নিরব আর্তনাদ চলছে এখানকার মানুষের মাঝে। ভেঙ্গে যাওয়া এলাকার যাতায়াতের পথটিতে বিদ্যুতের লাইন টানা থাকলেও পৌরসভার নাগরিক অধিকার হিসেবে সোডিয়াম বাতির আলো থেকেও বঞ্চিত সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। অন্যদিকে ভেঙ্গে যাওয়া এ পথটি বদরখালী সড়ক সংযোগ এবং চকরিয়া থানার সম্মুখে। যার কারণে ঘাটপাড়া-বাটাখালী হয়ে এখানে ঢুকতে যে রাস্তাটি রয়েছে তাও ভেঙ্গে চৌছির। রাস্তার প্রতিটি কদমে গর্ত এবং ইটের অসম্পূর্ণ অবস্থান। ফলে এখানেও এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হচ্ছেন ভয়ংকর দুর্ঘটনার। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় লোকজন।