সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
রামুতে মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত হাইটুপি চেরাংঘাটা এলাকায় দিন দুপুরে ক্ষেমানী বড়ুয়া নামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে ছুরিকাঘাত করে স্বর্ণের অলংকার, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ।
বিবৃতিতে পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া আর জরায় জর্জরিত এই বয়সী একজন বৃদ্ধ মহিলার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালাতে কিংবা তার শ্বাসনালীতে ছুরি চালাতে একটুও মায়া হয়নি দুর্বৃত্তদের।
হামলাকারী এবং হামলার শিকার উভয় ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক সত্য কিন্তু এটা কোন সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। এই ঘটনাকে কেবল কোন মাদক কারবারি, মাদকসেবী দুর্বৃত্তদের দুর্বৃত্তপনা হিসেবে দেখাই বাঞ্ছনীয়। তবে আর্জি এটাই যে, এলাকার শান্তির স্বার্থে এসব দুর্বৃত্তদের লাগাম টানা উচিত। তাদের লাগামহীন উৎপাত বন্ধ হওয়া উচিত।
বিবৃতিতে অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জোর দাবীও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে এ মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই বৃদ্ধের গলা, কাঁধ ও হাতসহ শরীরের কয়েকটি স্থানে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাহত বৃদ্ধা ক্ষেমানী বড়ুয়া (৭০) রামুর পূর্ব রাজারকুল বড়ুয়ার পাড়ার অমিয় বড়ুয়ার স্ত্রী। পেশায় দুধ বিক্রেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, পার্শ্ববর্তী ফুলনীর চর গ্রামের মো. নুর কবিরের ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী মো. সুমনের (৩০) নেতৃত্বে তিন-চারজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন অজ্ঞান অবস্থা থেকে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামু হাসপাতাল ভর্তি করেন। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
ওই বৃদ্ধার শ্বাসনালীর ওপরে,বাম কাঁধে এবং বাম হাতে তিনটি ছুরিকাঘাত হয়েছে। গলার আঘাতটি শ্বাসনালী পর্যন্ত গেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, বৃদ্ধার কোমরে বাঁধা কাপড়ের জালির মধ্যে স্বর্ণের হার (কন্ডির ছড়া), নগদ সাত হাজার টাকা এবং হাতে একটি পুরনো মোবাইল ছিল। এসব লুট করতেই এই হামলা চালানো হয়।