অনলাইন ডেস্কঃ
কক্সবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) জেলার চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী এবং উখিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, চকরিয়ায় মিনি ট্রাকের (ডাম্পার) ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী গার্মেন্টসকর্মীসহ দুইজন নিহত হয়। রোববার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের দরবেশকাটা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের পুটিবিলা গ্রামের বাবুল চন্দ্র দে’র স্ত্রী গার্মেন্টসকর্মী নিলু দে (৫০) ও একই ইউনিয়নের জেমঘাট গ্রামের আবুল কালামের ছেলে হাফেজ আবদুল কুদ্দুছ (৩৫)।
সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী মঞ্জু শ্রী দে বলেন, সকালে আমি ও নিলু মিলে চকরিয়া থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠি। চিরিঙ্গা-বদরখালী সড়কের দরবেশকাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই যাত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় অটোরিকশার চালক ও অপর যাত্রীরা সামান্য আহত হয়। তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
নিহত নিলুর ছোট ভাই শ্যামল দে বলেন, আমার বোন চট্টগ্রাম শহরে গার্মেন্টসে চাকরি করত। তার স্বামী-সন্তান কেউ নেই। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি।
চকরিয়া থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মনজুরুল কবির জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকায় খালের খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত শিশুরা হলো- পালংখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়াইল্যাপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৮) ও একই গ্রামের ছৈয়দ করিমের ছেলে মোহাম্মদ ফাহিম (৫)।
পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, রোববার বিকেলে শিশু দুটি খালের পানিতে খেলছিল। এর মধ্যেই হঠাৎ শিশু দুটি খালের পানির স্রোতে ভেসে ডুবে যায়। পরে পরিবারের লোকজন খালে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে বিকেল ৫টার দিকে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ ঘটনাটি শুনেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সূত্র: জাগোনিউজ