এ.এম হোবাইব সজীব,চকরিয়া:
চকরিয়ায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ দৌলত খানের বাড়িতে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়া গ্রামের বাড়িতে চাঁদা না দেওয়ার জেরে হামলায় দৌলত খানের বড় বোন কমরুনেছাসহ তার পরিবারের ৫ নারী পুরুষ আহত হয়েছেন। তাদেরকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান স্বজনরা। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা জানান, উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়ায় শহীদ দৌলত খানের বড় বোন কমরুনেছার (৫০) দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলীয় এক কানি জমি রয়েছে। ওই জমিতে তার পরিবার চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
শহীদ দৌলত খানের ভাগ্নে মো: সোহেল ও মো: জুয়েল জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় আমির হোসেন দুদু, আবদুল হামিদ, কামাল হোসেন, নুরউদ্দিন, ইয়াছিন ও ইমরান নামের কিছু দখলবাজ ও সন্ত্রাসী তাদের দখলীয় জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। ইতোমধ্যে ওইসব সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েকবার জমি দখল নিতে কয়েকবার চেষ্ঠা করেছিলো। এরমধ্যে সন্ত্রাসীরা জমি দখল করতে না পেরে তাদের মা কমরুনেছার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
শহীদ দৌলত খানের ভাগ্নেরা আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় ওইসব নামধারী সন্ত্রাসীরা তাদের জমিতে জোরপূর্বকভাবে রোয়া রোপন করতে যায়। এসময় কমরুনেছা ও তার স্বজনরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপর সন্ত্রাসীরা বন্দুকের বাট ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিঠিয়ে মারাত্মক জখম করে। ওইসময় প্রতিবন্ধী পুত্র মো: রুবেল (৩০) ও মো: আপেল (২৬) আহত অবস্থায় মাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও অমানবিক ভাবে মারধর ও নির্যাতন করে। এতে তারা মারাত্মক ভাবে আহত হন। সন্ত্রাসীদের হামলায় আরও আহত হয়েছেন রোকেয়া বেগম (২০), বকুল (২০)।
আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা জানান, ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রায় ২লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। স্বজনরা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এরমধ্যে প্রতিবন্ধী রুবেল ও আপেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তাদের স্বজনরা।
এদিকে চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান ও কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি জহিরুল ইসলাম খান।