গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ:
টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের পাসের হার নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। কেউ বলছে কলেজে ঠিকমত পাঠদান হচ্ছে না, কেউ বলছে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত লেখাপড়া করছে না, আবার অনেকে বলছে শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস নিচ্ছে না।
অপরদিকে টেকনাফ উপজেলার এইচ.এস.সি পরীক্ষার পাসের হার নিয়ে টেকনাফ পৌর এলাকার সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নাই, বর্তমান যুগের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা টাকা ছাড়া কিছু চিনে না, এই সমস্ত অভিভাবকরা ব্যবসা বানিজ্যকে আরো বৃদ্ধি করে কিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করবে সেই চিন্তা নিয়ে কাটিয়ে দেয় সারা দিন, সারা রাত। এদিকে তাদের ছেলে মেয়েরা ঠিকমত লেখাপড়া করছে কি, করছে না, এই নিয়ে অভিভাবকদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
কবি বলেছেন লেখাপড়া করে যে, গাড়ি গোড়ায় চড়ে সে অথচ বর্তমান যুগের কম বয়সী ছাত্ররা লেখাপড়ায় মাথা না দিয়ে ঘুরছে দামি দামি মোটর সাইকেল নিয়ে। আর ব্যবহার করছে দামি দামি মোবাইল সেট। এইভাবে চলতে থাকলে টেকনাফ উপজেলা থেকে শিক্ষার হার দিন দিন আরো কমে যাবে। তাই আমাদের দাবি স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমত লেখাপড়া করার জন্য সবার আগে নিজ নিজ অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে হবে। অভিভাবকরা সজাগ থাকলে প্রতিনিয়ত বাড়বে শিক্ষার হার সুনাম বয়ে আসবে টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের।
উল্লেখ্য, এইবারের টেকনাফ ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৫৪ জন অথচ গত ১৮ আগস্ট প্রকাশিত এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলে এই ২৫৪ জন ছাত্র-ছাত্রী থেকে পাস করে মাত্র ১৪৬ জন আর বাকি ১০৮ জন ফেল করে। এর মধ্যে একজন ছাত্র-ছাত্রীও এ+ পায়নি।
এব্যাপারে টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ্ শেখ জয়নাল আবেদীন আমাদের রামু কে বলেন, গত বছরের চেয়ে এই বছর শিক্ষার হার ১০% বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের কলেজ সরকারিকরণ হওয়ায় আগামীতে আরো ভাল শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হবে। পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা আরো সচেতন হলে আমাদের কলেজের শিক্ষার হার আরো বৃদ্ধি পেয়ে সুনাম বয়ে আনবে।