আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে গত পাঁচ মাসে পুলিশের গুলি ও জান্তা সরকারের নিপীড়নে অন্তত ৭৫ শিশু নিহত হয়েছে। একই সময়ে আটক করা হয়েছে এক হাজার শিশুকে। শুক্রবার জাতিসংঘের শিশু অধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার কমিটির প্রধান মিকিকো ওতানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বহু শিশুকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে জান্তা সরকার। ওতানি বলেন, শিশুরা নিয়মিতভাবে জান্তার নিপীড়ন এবং নির্বিচার গুলির শিকার হচ্ছে।
১৮ জন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত জাতিসংঘের ওই কমিটি শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের ওপর নজর রাখছে। মিয়ানমার ১৯৯১ সালে এ সনদে স্বাক্ষর করেছে।
কিছু শিশুকে তাদের বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে মিয়ানমারের সেনা ও পুলিশের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, মান্দালয়ে ছয় বছরের এক কন্যাশিশুকে পেটে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্বিচার শিশুদের আটক করছে।
জান্তা কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী মা-বাবাকে আটকে ব্যর্থ হয়ে তাঁদের শিশুসন্তানদের জিম্মি করে রাখার ঘটনাও ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিটি। যেমন মান্দালয় অঞ্চলে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে এক বাবা অংশ নেওয়ায় তাঁর পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশুকে জিম্মি করেন সেনারা।
মিয়ানমারে দেশজুড়ে চিকিৎসাকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দেশটির হাসপাতাল, স্কুল ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে রেখেছেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান সামরিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো